যোগাযোগ মন্ত্রী ওবায়েদুল কাদের বলেছেন, ‘আগামী মে মাসের মধ্যে বিআরটিসির ২৯০টি গাড়ির চালান আসবে। এরমধ্যে আমরা একটি আংশিক চালান পেয়েছি।
যানজট নিরসনের লক্ষ্যে ছোট গাড়িগুলো বাদ দিয়ে ২৯০টি গাড়ির মধ্যে ১০০টি গাড়ি স্কুল কলেজের জন্য বরাদ্দ দেবো। বিভিন্ন স্কুল কলেজের প্রতিনিধিদের নিয়ে নগরভবনে এ সংক্রান্ত একটি সভাও করা হয়েছে।’
রোববার বেলা ১১টায় মিরপুর সরকারি বাঙলা কলেজ আয়োজিত জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯২তম জন্মবার্ষিকী, জাতীয় শিশু দিবস, মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস এবং ক্রীড়া প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিধির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘মেধাবী ছাত্ররা রাজনীতিতে না এলে মেধাহীন খারাপ লোকেরা দেশ চালাবে। দেশ ভালো চালাতে চাইলে ভালো লোকেরা রাজনীতিতে আসুন। কিছু জনপ্রতিনিধি আমাদের গোটা জাতিকে লজ্জায় ডোবাচ্ছে। জাতীয় সংসদে অশ্রাব্য কথা বলা জাতি আশা করা না।’
বিরোধী দলকে উদ্দেশ করে মন্ত্রী বলেন, ‘বিরোধী দল বলে যে, সংসদ কার্যকর হয় না, সংসদে আমাদের কথা বলতে দেওয়া হয় না। বিরোধীদলীয় নেতা সংসদে ১ ঘণ্টা ৫৩ মিনিট বক্তব্য রেখেছেন। তিনি বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রীকে কটূক্তি করেও কথা বলেছেন। তবুও সংসদের স্পিকার তার মাইকের লাইনটি কেটে দেননি। এরপরও কি বলবেন কথা বলতে দেওয়া হয় না?’
তিনি বলেন, ‘সংসদে সাংসদরা গণতন্ত্রকে লাশ বানায় আর রাস্তায় বেপরোয়া ড্রাইভাররা মানুষকে লাশ বানায়।’
শিক্ষকদের উদ্দেশ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘শিক্ষকদের দলীয় রাজনীতি করার কোনো প্রয়োজন নেই। আপনারা কোয়ালিটি টিচিং দিলে আমরা কোয়ালিটি স্টুডেন্ট পাবো। তরুণদেরকে আমাদের জাগাতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘বর্তমানে আমাদের শিক্ষার মান অনেক কমে গেছে। টাইম ম্যাগাজিনে ২ হাজার বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় প্রাচ্যের অক্সফোর্ডখ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম খুঁজে পেলাম না। আপনারা টিউশনি আর কোচিং নিয়ে ব্যস্ত না থেকে ছাত্রদের কোয়ালিটিপূর্ণ শিক্ষা দেন।’
বর্তমান রাজনীতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘যতটুকু সম্ভব গণতান্ত্রিক সহাবস্থান করা উচিত। আমরা এবং আমাদের সরকার এই গণতান্ত্রিক সহাবস্থানের পক্ষপাতি।’
শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন দাবি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এ দেশে অসংখ্য ঘোষণা ফাঁপানো বেলুনের মতো চুপসে যায়। এ দেশে অনেক ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেও তা নির্মাণের কাজ হয় না। আমি ঘোষণা দেই না, আমি বাস্তবে কাজ করি। আমি দিতেই চাই। এজন্য কোনো দাবি করার প্রয়োজন নেই।’
ছাত্র রাজনীতি প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ‘গুটিকয়েক ছাত্রনেতার জন্য আজ ছাত্ররাজনীতি কলঙ্কিত। ছাত্ররাজনীতি থেকে এই কলঙ্কতিলক মুছে ফেলতে হবে।’
সরকারি বাঙলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর এসএম মকফুর হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ঢাকা ১৪ আসনের সাংসদ আসলামুল হক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক প্রফেসর মো. নোমান উর রশিদ।
এ ছাড়া বক্তব্য রাখেন কলেজের উপাদক্ষ প্রফেসর মো. ইমাম হোসেন, কলেজের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক ও ছাত্রনেতারা।
অনুষ্ঠান শুরুর পূর্বে মন্ত্রী বিভিন্ন বিভাগের ছাত্রছাত্রীদের কুচকাওয়াজ পরিদর্শন করেন।