যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট পদে রিপাবলিকান পার্টির মনোনয়ন প্রত্যাশী ডোনাল্ড ট্রাম্পের মুসলিম-বিদ্বেষী বক্তব্য মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা দুর্বল করে দিচ্ছে বলে সতর্ক করে দিয়েছে পেন্টাগন। পেন্টাগনের মুখপাত্র পিটার কুক বলেছেন, এ ধরনের কথা-বার্তা ইসলামিক স্টেটের কর্মকাণ্ডকে আরও জোরদার করতে পারে। খবর বিবিসির।
দেশ এবং দেশের বাইরে তীব্র সমালোচনার মুখেও আমেরিকায় মুসলিমদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপের প্রস্তাবে অটল রয়েছেন ট্রাম্প। তিনি বলেছেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় প্রেসিডেন্ট রুজভেল্ট জাপানি-আমেরিকান নাগরিকদের নির্দিষ্ট স্থানে আবদ্ধ করার যে নির্দেশ দিয়েছিলেন তার সঙ্গে এ পরিকল্পনার কোন পার্থক্য নেই।
ক্যালিফোর্নিয়ায় গত সপ্তাহে এক মুসলিম দম্পতির সশস্ত্র হামলার পরিপ্রেক্ষিতে ট্রাম্প মুসলিমদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা দরকার বলে মন্তব্য করেন। এর পর তীব্র সমালোচনা মুখে পড়েন ২০১৬ সালের নির্বাচনে রিপাবলিকান দলের প্রেসিডেন্ট পদে মনোয়ন প্রত্যাশী ট্রাম্প। এমনকি নিজের দলের নেতাকর্মীরাও সমালোচনা করেন ট্রাম্পের।
আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী ম্যানুয়েল ভালস এবং ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন ট্রাম্পের বক্তব্যের সমালোচনা করেছেন। এদিকে হোয়াইট হাউজ বলছে, এই বক্তব্য প্রমাণ করে ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হওয়ার অ-যোগ্য।
হোয়াইট হাউজের একজন মুখপাত্র জশ আর্নেস্ট বলছেন, সোমবার ডোনাল্ড ট্রাম্প যা বলেছেন তাতে তার প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালনের যোগ্যতা থাকে না। একইসঙ্গে রিপাবলিকান প্রার্থীরা ট্রাম্পকে সমর্থনের যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন সেটিও তাদের অযোগ্যতাই নির্দেশ করে।
এছাড়া প্যারিসে গত মাসের ভয়াবহ হামলার পর সিরিয়ার সব শরণার্থীর আশ্রয় যুক্তরাষ্ট্রের প্রত্যাখ্যান করা উচিত বলেও মন্তব্য করেন ট্রাম্প। যুক্তরাষ্ট্রের মুসলিম নেতারা ও জাতিসংঘ ও অন্যান্য দেশের নেতারাও ট্রাম্পের সমালোচনা করেছেন।