কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডারদের (সিএইচসিপি) চাকরি জাতীয়করণের দাবিতে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে বাংলাদেশ কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার অ্যাসোসিয়েশন (বিসিএইচসিপিএ)। যতদিন দাবি আদায় না হবে ততদিন শান্তিপূর্ণ এই আন্দোলন চালিয়ে যাওয়া হবে বলেও জানানো হয় সংগঠনের পক্ষ থেকে। মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এ লাগাতার কর্মসূচি পালন করছে সংগঠনটি।
বক্তারা বলেন, ১৯৯৬ সালে প্রথমবারের মত দেশ পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করার পর ১৯৯৮ সালে আওয়ামী লীগ সরকার সারা দেশে ৬ হাজার গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর জন্য একটি করে কমিউনিটি ক্লিনিক নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয়। পরবর্তিতে সরকার পরিবর্তনের কারণে ২০০১ সালে প্রকল্পটির কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়া হয়। পরে দ্বিতীয় বারের মতো আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর কমিউনিটি ক্লিনিক প্রকল্প আবার চালু করে। ২০১১ সালে কমিউনিটি ক্লিনিকের স্বাস্থ্য কর্মী হিসাবে ১৩ হাজার ৫০০ সিএইচসিপি নিয়োগ দেওয়া হয়। বর্তমানে ১৩ হাজার ৬৮১ জন কর্মরত আছেন।
তারা আরো বলেন, গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর দৌগোড়ার স্বাস্থ্য সেবা পৌঁছে দেওয়ার কাজ সিএইচসিপিরা করছে। ইতিমধ্যে জণগন কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে স্বাস্থ্য সেবা গ্রহণ করেছেন। মহিলা সিএইচসিপিরা সিএসবিএ প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছে। দুই হাজার কমিউনিটি ক্লিনিকের নরমাল ডেলেভারী সফলভাবে চালু করেছেন। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের বিষয় আমাদের চাকরি বয়স প্রায় চার বছর এই চার বছরে আমাদের ইনক্রিমেন্টসহ অনেক সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত রাখা হয়েছে।
কর্মসূচিতে উপস্থিত আছেন সংগঠনের সভাপতি কামাল হোসাইন সরকার, মহাসচিব আফাজ উদ্দিন লিটন, সহ-সভাপতি নঈমুদ্দিন, সুমন মাদবর, সাইফুল আলম রোকন, জাবের আলী শেখ, সহ-সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা শামীম প্রমুখ।