স্বর্ণকেশী চক্রের খোঁজে ব্রাজিলের পুলিশ

স্বর্ণকেশী চক্রের খোঁজে ব্রাজিলের পুলিশ

ব্রাজিলিয়ান পুলিশ এখন সোনালি কেশের সুন্দরী নারীদের একটি চক্রকে খুঁজছে। ব্রাজিলের সাও পাওলো শহরে পরপর সংঘটিত বেশ কয়েকটি অপহরণ ও ডাকাতির ঘটনার সঙ্গে এই নারীরা যুক্ত বলে সন্দেহ করছে পুলিশ।

শপিং সেন্টারগুলোতে সময় কাটানো ধনী নারীদেরই মূলত এই চক্র বেছে নেয় শিকারের জন্য। অপহরণ দমনের জন্য গঠিত সাও পাওলো পুলিশের একটি বিশেষ বিভাগ বেশ কয়েকটি ডাকাতি ও অপহরণের ঘটনা তদন্ত করতে গিয়ে এই চমকপ্রদ নারী অপরাধী চক্রের সন্ধান পায়।

পুলিশের খাতায় ‘ব্লন্ড গ্যাং’ বলে অভিহিত এই চক্র কম বয়সী, উচ্চশিক্ষিত ও মধ্যবিত্ত পরিবারের নারীদের নিয়ে গঠিত বলে জানান সাও পাওলো পুলিশের অপহরণ দমন বিভাগের প্রধান জোয়াকিম দিয়াস আলভেজ। চক্রের সদস্য নারীদের অনেকেই বিদেশে পড়াশোনা করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন উচ্চশিক্ষিত এবং অভিজাত চেহারার এই নারীদের মধ্যে কেউ কেউ একাধিক আন্তর্জাতিক ভাষায় কথা বলতে পারে। তিনি বলেন,‘তারা সত্যিকার ভাবেই খুব সুন্দরী এবং দেখতে পোশাক-আশাকে সুশোভিত অভিজাত নারীদের মতন।’

এই গ্যাংয়ের সদস্যরা বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই তাদের মতো দেখতে নারীদের টার্গেট করে যাতে সহজেই তারা শিকারের ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে কাজ হাসিল করতে পারে।

বিগত ৩ বছর ধরে চক্রটি এই কর্ম চালিয়ে আসছে বলে ধারণা করছে পুলিশ। এই সময়ের মধ্যে অন্তত ৫০ জন এই চক্রের শিকারে পরিণত হয়েছে।

এই চক্রের রহস্যভেদ করতে অভিযানে নেমে পুলিশ ইতিমধ্যেই এর সঙ্গে জড়িত সন্দেহে এক পুরুষসহ ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে।

‘এক্সপ্রেস কিডন্যাপিং’ বলে অভিহিত এই অপহরণের ঘটনায় শিকারকে মূলত কয়েক ঘন্টার বেশি আটকে রাখা হয়না। আক্রান্তকে কয়েক ঘন্টা আটকে রাখার মাধ্যমে তাদের ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ফাঁকা করার এই পদ্ধতি লাতিন আমেরিকায় খুব স্বাভাবিক একটি অপরাধ।

চক্রের সদস্যরা প্রথমে শিকারের গাড়ি অনুসরণ করে পেছনে পেছনে একটি সুবিধাজনক স্থানে যায় এবং তাদেরকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে আটকে রাখে। তবে শিকারদের বেশি সময় ধরে রাখা হয়না। চক্রের একটি অংশ শিকারকে আটকে রাখে আর ওই সময়ের মধ্যে অপর অংশ শিকারের ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তুলে নেয় অথবা নিজেদের খেয়াল খুশিমত শপিং করে।

আন্তর্জাতিক