লক্ষ্যটা খুব বেশি বড় নয়। মাত্র ১০৬ রান। এই লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে খুব বেশি যে ভুগতে হয়েছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সকে তা নয়। বরং, পাকিস্তানি ওপেনার আহমেদ শেহজাদের দুর্দান্ত ইনিংসের ওপর ভর করে বরিশালকে ৭ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে মাশরাফির কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। বল বাকি ছিল তখনও ১৫টি। ৭৬ রানে অপরাজিত ছিলেন আহমেদ শেহজাদ।
প্রথম ৬ ম্যাচের ৫টিতে জেতা বরিশাল বুলস এ নিয়ে টানা দ্বিতীয় ম্যাচ হারলো। গতকাল (রোববার) সিলেট সুপার স্টারসের সামনে ৫৮ রানে অলআউট হয়ে যাওয়ার পর হেরেছিল ৯ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে। এবার তারা অলআউট না হলেও কুমিল্লার সামনে তুলতে পারল মাত্র ১০৫ রান। শেষ পর্যন্ত পরাজয় ৭ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে।
এই পরাজয়ের ফলে শীর্ষে ওঠার যে স্বপ্ন ছিল বরিশালের সেটা ধুলিস্যাৎ হয়ে গেছে। উল্টো বরিশালকে বড় ব্যবধানে হারিয়ে শীর্ষস্থানে নিজেদের অবস্থান নিরঙ্কুশ করলো কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। ৮ ম্যাচ শেষে কুমিল্লার পয়েন্ট ১২। ১০ পয়েন্ট করে নিয়ে দ্বিতীয় এবং তৃতীয় স্থানে রয়েছে রংপুর রাইডার্স এবং বরিশাল বুলস।
টস জিতে কেন ফিল্ডিং বেছে নিয়েছিলেন মাশরাফি, সেটা ম্যাচ শেষেই প্রমাণ হয়ে গেলো। শুরুতেই অবশ্য প্রমান দিতে শুরু করেন কুমিল্লার বোলাররা। এভিন লুইস আর ক্রিস গেইলকে দ্রুত ফিরিয়ে দিয়ে। এরপর কুমিল্লার বোলাররা একের পর এক বরিশালের ওপর আঘাত হেনেছেন এবং রান নিয়ন্ত্রণে রেখেছেন। ফলে ১০৫ রানেই থেমে যায় বরিশাল বুলসের ইনিংস।
জয়ের জন্য ১০৬ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা অবশ্য মোটেও ভালো হয়নি কুমিল্লার। ইনিংসের প্রথম বলেই সাব্বির রহমানের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান ওপেনার লিটন কুমার দাস। বোলার সাজেদুল ইসলাম। কুমিল্লার ইনিংসের খাতা তখনও শূণ্য। এরপর ১৪ রানের মাথায় পড়লো দ্বিতীয় উইকেট। রানের খাতা না খুলেই আউট হয়ে গেলেন ইমরুল কায়েস। আল আমিন হোসেনের বলে রনি তালুকদারের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান তিনি।
এরপর জুটি বাধেন দুই পাকিস্তানি আহমেদ শেহজাদ এবং শোয়েব মালিক। দু’জন মিলে ৩৪ রানের জুটি গড়ার পর আঘাত হানেন তাইজুল ইসলাম। ১৫ বলে ৮ রান করা শোয়েব মালিককে ফিরিয়ে দেন তিনি।
বাকি গল্পটা শুধুই কুমিল্লার। এক আহমেদ শেহজাদের হাতেই পতন ঘটলো বরিশাল বুলসের। ৬৩ বলে ১০ চার আর এক ছক্কায় ৭৬ রানে অপরাজিত ইনিংস খেলে কুমিল্লাকে জয় এনে দিলেন শেহজাদ। আরেক পাকিস্তানি আসহার জাইদি অপরাজিত ছিলেন ১৮ বলে ২০ রানে।
বরিশালের সাজেদুল, আল আমিন এবং তাইজুল ইসলাম নেন ১টি করে উইকেট।