ল্যাবএইডকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা

ল্যাবএইডকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা

574অনুমোদনহীন ওষুধ বিক্রির দায়ে রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা করেছেন র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। পাশাপাশি ল্যাবএইড হাসপাতালের এক চিকিৎসকের সহকারীকে পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। রোববার রাতে এক অভিযানে এই জরিমানা আদায় করা হয়।

র‌্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. ফিরোজ আহমেদ জাগো নিউজকে বলেন, ল্যাবএইড কর্তৃপক্ষ ওষুধ প্রশাসনের (ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন) কোনো অনুমতি ছাড়াই বিভিন্ন ধরনের বিদেশি ওষুধ আমদানি ও বিক্রি করতো। এ ওষুধগুলো মানবদেহের জন্য ক্ষতিকারক। তাই অবৈধভাবে এসব ওষুধ রাখায় ১০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

অভিযানে ল্যাবএইড থেকে ২৬ ধরনের অননুমোদিত ও আমদানি নিষিদ্ধ ওষুধ পেয়েছে র‍্যাব। এগুলোর আনুমানিক মূল্য প্রায় পাঁচ লাখ টাকা বলে জানান ফিরোজ আহমেদ। ওষুধগুলো হার্ট, কিডনি, ক্যান্সারসহ বিভিন্ন রোগে ব্যবহৃত হয়। এছাড়া দীর্ঘদিন ধরে রোগীদের ভেজাল ওষুধ সরবরাহ করায় ল্যাবএইড হাসপাতালের এক ডাক্তারের সহকারীকে পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

র‍্যাব জানায়, ল্যাবএইডের চিকিৎসক অধ্যাপক আলী হোসেন নিয়মিত ল্যাবএইডে রোগী দেখেন। তার সহকারী নজরুল ইসলাম ভেজাল ওষুধ বানিয়ে তা রোগীদের কাছে উচ্চমূল্যে বিক্রি করতেন। তাই তাকে জরিমানা করা হয়েছে। দোষ স্বীকার করে নেয়ায় শুধুমাত্র অর্থদণ্ড দেয়া হয়েছে।

তবে নিজেদের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ অস্বীকার করেছে ল্যাবএইড কর্তৃপক্ষ। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ল্যাবএইডের যোগাযোগ বিভাগের এক কর্মকর্তা জাগো নিউজকে জানান, অনেক প্রয়োজনীয় ওষুধ রয়েছে যা বাংলাদেশে উৎপাদিত হয় না। আমরা রোগীদের অনুরোধে এগুলো আমদানিকারকদের কাছ থেকে কিনে আনি।

এর আগে, রোববার সন্ধ্যা থেকে ধানমন্ডির ফার্মাসিগুলোতে অভিযান চালায় র‍্যাব। এরই অংশ হিসেবে ল্যাবএইডে যায় তারা। দীর্ঘ ৪ ঘণ্টাব্যাপি এ অভিযানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউট (বিএসটিআই) এবং ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের প্রতিনিধিরা।

একই অভিযোগে শনিবার রাজধানীর ফার্মগেটের আল রাজী হাসপাতালকে ছয় লাখ এবং আদাবরের এসপি, এসপি-২ হাসপাতালকে ১৪ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।

বাংলাদেশ