মালয়েশিয়ায় আটক সায়েদের স্বজনদের খুঁজছে দূতাবাস

মালয়েশিয়ায় আটক সায়েদের স্বজনদের খুঁজছে দূতাবাস

561মালয়েশিয়া ক্যাম্পে আটক সায়েদের স্বজনদের খুঁজছে বাংলাদেশ দূতাবাস। সায়েদ মোহাম্মদ নামে এক বাংলাদেশি মালয়েশিয়ার মালাক্কা ডিটেনশন ক্যাম্পে আটক রয়েছেন প্রায় ১০ মাস ধরে। বৈধ কাগজপত্র না থাকার কারণে মালয়েশিয়া ইমিগ্রেশন পুলিশ তাকে আটক করে।

বাংলাদেশ দূতাবাসের ফার্স্ট সেক্রেটারি (শ্রম) মুশাররাত জেবিন মালাক্কা ডিটেনশন ক্যাম্প পরিদর্শন করতে গেলে সেখানে আটক অনেক বাংলাদেশির মধ্যে সায়েদ মোহাম্মদের সন্ধান পান। এ ক্যাম্পে আটক একশ বাংলাদেশির সাক্ষাৎকার নেন তিনি। তবে সায়েদ কোনো কথা বলেননি। পরে তাকে কাগজে লিখতে বললে তিনি নিজের নাম আর বাড়ির ঠিকানা লেখেন। তার বাড়ি জামালপুর জেলার বাগেরহাটায়। সায়েদের বাবার নাম মোজাম্মেল, মা-রাজিয়া খাতুন বলেও ওই কাগজে লেখেন তিনি।

মুশাররাত জেবিন এ প্রতিবেদককে জানান, আটক বাংলাদেশিদের খবর নিয়ে তাদের দেশে পাঠানোর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে গিয়েছিলাম ক্যাম্পে। কথা হয় আটক ১০০ বাংলাদেশির সঙ্গে। কিন্তু সায়েদ মোহাম্মদের সঙ্গে কথা বলতে চাইলে কোনো কথা বলেননি তিনি। কাগজে অগোছালোভাবে নিজের নাম পরিচয়টুকু কোনো রকমে লিখতে পেরেছেন। পঞ্চাশোর্ধ্ব সায়েদের মুখে খোঁচা খোঁচা পাকা দাড়ি, মাথার চুলেও পাক ধরেছে। কেউ কিছু জিজ্ঞেস করলে ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে থাকেন। কারো সঙ্গে তেমন কোনো কথাও বলেন না।

জেবিন বলেন, ‘সায়েদের হাতের লেখা বাংলা দেখে বুঝতে পেরেছি তিনি বাংলাদেশি। তিনি মালয় ভাষায় কথা বলতে পারেন। তবে বাংলায় কোনো কথা বলেননি।’

এদিকে বৈধ কাগজপত্র না থাকার কারণে মালয়েশিয়া ইমিগ্রেশন পুলিশ সায়েদ মোহাম্মদকে আটক করে। কয়েক মাস জেল খাটার পরও পরিবারের পক্ষ থেকে এখনো তাকে কেউ নিতে আসেননি। ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ বৈধ কাগজপত্র না থাকার কারণে তাকে জেল থেকে বের হতে দিচ্ছে না।

বাংলাদেশে সায়েদ মোহাম্মদের স্বজনদের খোঁজ করছে কুয়ালালামপুর দূতাবাস। সায়েদের স্বজন বা কোনো ব্যক্তি যদি তার পরিবারের সন্ধান পান তবে তাকে কুয়ালালামপুর দূতাবাসের ০০৬০৩৪২৫১০৮৪৩ ফোন নম্বরে যোগাযোগ করতে অনুরোধ জানিয়েছেন দূতাবাসের এ কর্মকর্তা।

জেবিন বলেন, ‘বাংলাদেশি অনেক লোক এখনো মালয়েশিয়ায় বিভিন্ন ডিটেনশন ক্যাম্পে আটক রয়েছেন। আটককৃতদের আত্মীয় স্বজনরা দূতাবাসে যোগাযোগ করছেন। আটক ব্যক্তিদের আমরা ট্র্যাভেল পাস দিয়ে দ্রুত দেশে পাঠানোর চেষ্টা করছি।’

বাংলাদেশ