বীমা আইনের দুই প্রবিধান চুড়ান্ত

বীমা আইনের দুই প্রবিধান চুড়ান্ত

দুনীতির আখড়া খ্যাত বীমা খাতের নিয়ন্ত্রণ আনতে আইনের দু’টি প্রবিধানে চুড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়। এছাড়া আরো ৬টি প্রবিধান চুড়ান্ত করার জন্য অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত অনুমোদন দিয়েছেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

আইনের সীমাবদ্ধতা দূর করতে এ পর্যন্ত বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ) মোট ১৪টি প্রবিধান অনুমোদনের জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠায়। এর মধ্য হতে অনুমোদন পাওয়া প্রবিধানগুলো আইডিআরএ চেয়ারম্যানের অনুমোদনের পরই গেজেট আকারে প্রকাশ করা হবে।

চুড়ান্ত হওয়া প্রবিধান ২টি হলো- তহবিল ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত প্রবিধান (বাংলা) ও উপদেষ্টা পরিষদ (বাংলা)।

সম্প্রতি অর্থমন্ত্রণালয় থেকে ৬টি প্রবিধান চুড়ান্ত করার জন্য আইডিআরএ চেয়ারম্যানের কাছে পাঠানো হয়েছে।

প্রবিধানগুলো হলো- বীমাকারীর কার্যালয় ও শাখা-কার্যালয়ের লাইসেন্স প্রাপ্তির আবেদন, বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (উদ্বৃত্ত বণ্টন) প্রবিধানমালা বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (গ্রামীণ ও সামাজিক খাতে বীমাকারীর দায়বদ্ধতা), বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (বিরোধ মীমাংসা কমিটি) প্রবিধানমালা, কেন্দ্রীয় রেটিং কমিটি প্রবিধানমালা, বীমা পলিসিতে ক্ষুদ্র দাবির বিরোধ, বীমা উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (গ্রামীণ ও সামাজিক খাতে বীমাকারীর দায়বদ্ধতা) এবং কেন্দ্রীয় রেটিং কমিটি প্রবিধানমালা।

গত ১৩ মার্চ অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সিনিয়র সহকারী সচিব মোস্তাক উদ্দীন আহমেদ স্বাক্ষরিত চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, প্রবিধানসমূহে অর্থমন্ত্রী অনুমোদন করেছেন। চিঠিতে, আইডিআরএ চেয়ারম্যানকে প্রবিধান ৬টিতে চিঠি পাওয়ার ২ দিনের মধ্যে স্বাক্ষর করে অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগে পাঠানোর অনুরোধ করা হয়।

তবে বিশ্বস্ত সূত্র জানায়, রেটিং কমিটি সংক্রান্ত প্রবিধানে বীমা খাতে মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিআইএ) অংশীদারিত্ব রাখায় আইডিআরএ চেয়ারম্যান তা নিয়ে দ্বিমত পোষণ করছেন। যে কারণে তিনি এখনো প্রবিধানটিতে স্বাক্ষর করেননি।

জানা গেছে, আইডিআরএ গঠন কারার পর গত বছরের ফেব্রয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত অর্থমন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের জন্য মোট ১৪টি খসড়া প্রবিধান পাঠানো হয়। এর মধ্যে গত ডিসেম্বরে পাঠানো ৯টি প্রবিধানের মধ্যে এ ছয়টি অনুমোদন দেয়া হয়েছে।

অনুমোদন না পাওয়া বাকী তিনটি প্রবিধান হলো বীমাকারীর শাখা ও কার্যালয় স্থাপনের লাইসেন্স প্রাপ্তির আবেদন, নিবন্ধনের নিমিত্ত ফি প্রবিধান মালা ও মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা নিয়োগের জন্য ব্যক্তির যোগ্য ও উপযুক্ত পরীক্ষা প্রবিধানমালা।

এছাড়া অর্থমন্ত্রণালয়ে অনুমোদনের জন্য পাঠানো প্রবিধানগুলো হচ্ছে, বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (তহবিল ব্যবস্থাপনা) প্রবিধানমালা, বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (নিবন্ধনের নিমিত্ত ফি) বিধিমালা, বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (বীমা কোম্পানির নিবন্ধন) প্রবিধানমালা, বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (নন-লাইফ বীমা এজেন্টগণকে লাইসেন্স প্রদান) প্রবিধানমালা, বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (বীমা কোম্পানির নিবন্ধন) প্রবিধানমালা, বীমাকারীর কার্যালয় ও শাখা-কার্যালয়ের লাইসেন্স প্রদানের ফি, বীমা কোম্পানির পরিশোধিত মূলধন ও অংশীদারিত্ব বিধিমালা, বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (জীবন বীমা এজেন্টদেরকে লাইসেন্স প্রদান) প্রবিধানমালা, বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (উপদেষ্টা পরিষদ) প্রবিধানমালা এবং বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (তহবিল ব্যবস্থাপনা) প্রবিধানমালা ২০১১।

অর্থ বাণিজ্য