বেনাপোল বন্দর দিয়ে গত অর্থবছরের তুলানায় চলতি অর্থবছরে সুপারি রফতানি বেড়েছে প্রায় দ্বিগুণ। ভারতের বাজারে বাংলাদেশি সুপারির চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় বাংলাদেশ থেকে রফতানিও বাড়ছে।
তবে মান নিয়ন্ত্রণের নামে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ অহেতুক কড়াকড়ি আরোপ না করলে সুপারি রফতানি আরও বাড়তো বলে মন্তব্য করে বেনাপোল স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ।
বেনাপোল কাস্টমসের যুগ্ম কমিশনার আকবর হোসেন জানান, ২০১১-১২ অর্থবছরের প্রথম ৮ মাসে বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারতে ৪৬ হাজার ৬৪৮ মেট্রিক টন সুপারি রফতানি হযেছে, যার রফতানি মূল্য ২৪৬ কোটি ২৯ লাখ ৬৮ হ্জার টাকা। একই সময়ে গত ২০১০-১১ অর্থ বছরে সুপারি রফতানির পরিমাণ ছিল ২৪ হাজার ৩৪৭ মেট্রিক টন। আর এর রফতানি মূল্য ছিল ১২২ কোটি ৩৭ লাখ ৮৬ হাজার টাকা।
সুপারি রফতানির পরিমাণ বেড়েছে ২২ হাজার ৩০১ মেট্রিক টন।
ইতোমধ্যে ভারতে বাংলাদেশি সুপারির বাজার গড়ে উঠতে শুরু করেছে। বর্তমানে প্রতি মেট্রিক টন সুপারির রফতানি মূল্য ৭২০ মার্কিন ডলার।
কাস্টম কর্মকর্তা বলেন, ভারতীয় কাস্টমস কর্তৃপক্ষ সুপারি রফতানির ক্ষেত্রে এর গুণগত মান নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ব্যাপক কড়াকাড়ি আরোপ করায় বাংলাদেশি রফতানিকারকরা নানাভাবে হয়রানির শিকার হচ্ছেন।
তৌহিদুল ইসলাম নামে এক সুপারি রফতানিকারক জানান, ভারতে বাংলাদেশি সুপারির ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। তবে ভারতীয় কাস্টমস কর্তৃপক্ষ সুপারির গুণগত মান পরীক্ষার নামে দীর্ঘদিন ধরে ট্রাকভর্তি সুপারি আটকে রাখায় মোটা অঙ্কের লোকসান গুণতে হচ্ছে তাদের।
বাংলাদেশ থেকে আমদানি করা এসব সুপারি দিয়ে তৈরি হচ্ছে নানা ধরনের পান মসলা।
বেনাপোল স্থলবন্দরের পরিচালক আবুল কালাম আজাদ জানান, বন্দর দিয়ে প্রতিদিন ১৫-২০ ট্রাক সুপারি রফতানি হচ্ছে ভারতে। বাংলাদেশ থেকে রফতানি করা একটি সুপারির ট্রাক খালাশ করাতে ১০-১২ দিন সময় লাগছে। আর এতে হয়রানির শিকার হচ্ছে বাংলাদেশি ব্যাসায়ীরা।
অবশ্য বাংলাদেশ থেকে দিনের ট্রাক দিনেই রফতানির অনুমতি দেওয়া হচ্ছে।