এইচআইভি সংক্রমণ থেকে বাঁচার উপায়

এইচআইভি সংক্রমণ থেকে বাঁচার উপায়

442এইডস একটি সংক্রামক রোগ, যা এইচআইভি (Human Immunodeficiency Virus) ভাইরাসের সংক্রমণের মাধ্যমে হয়। এটি মানুষের দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে দুর্বল করে দেয়। আপনার রক্তে যদি এইচআইভি সংক্রমণ হয় তবে শরীর এক সময় এই অবস্থায় পৌঁছে যেতে পারে। জেনে নিন এইচআইভি সংক্রমণ থেকে বাঁচার উপায়।

যৌন সংক্রমণের ক্ষেত্রে-

সঙ্গমের ক্ষেত্রে সিমেন, প্রি-সেমিনাল ফ্লুইড, ভ্যাজাইনাল ফ্লুইড থেকে সংক্রমণ ছড়াতে পারে। সতর্ক থাকলে সংক্রমণের ঝুঁকি এড়ানো না গেলেও কমানো যায়।

১। যদি কনডম ছাড়া সেক্স করেন তবে দীর্ঘদিনের সঙ্গীর ক্ষেত্রেও অবশ্যই এইচআইভি পরীক্ষা করিয়ে নেবেন।

২। একমাত্র ল্যাটেক্স কনডম ব্যবহার করলেই এইচআইভি সংক্রমণ রোধ করা যায়। লুমবিস্কিন কনডম এইচআইভি সংক্রমণ রোধ করতে পারে না। যদি সঙ্গী আপনার অপরিচিত হয় তবে অবশ্যই ল্যাটেক্স কনডম ব্যবহার করুন।

৩। ডেট এক্সপায়ার করে যাওয়া কনডম কখনই ব্যবহার করবেন না।

৪। ওরাল সেক্স বা অ্যানাল সেক্সের ক্ষেত্রেও সংরক্রমণ ছড়াতে পারে।

৫। মাথায় রাখবেন কনডম কিন্তু সংক্রমণের ঝুঁকি কমাতে পারে কিন্তু কখনই নির্মূল করতে পারে না।

সিরিঞ্জের মাধ্যমে সংক্রমণের ক্ষেত্রে-

১। কোনও এইচআইভি পজিটিভ ব্যক্তির শরীরে ব্যবহার করা অপরিশোধিত সিরিঞ্জ পুনরায় ব্যবহার করলে সংক্রমণ ছড়ায়। সতর্ক থাকুন যেন আপনার ক্ষেত্রে সব সময় পরিশোধিত সিরিঞ্জ ব্যবহার করা হয়।

২। ট্যাটু করানোর সময় খেয়াল রাখুন যেন অন্য পরিশোধিত সিরিঞ্জ ব্যবহার করা হয়।

৩। যদি সম্পূর্ণ নতুন সিরিঞ্জ ব্যবহারের সুবিধা না থাকে তবে নিজের উদ্যোগে ডিসইনফেক্ট করিয়ে নিন।

এইচআইভি রোগীর চিকিৎসার ক্ষেত্রে-

১। যদি আপনি স্বাস্থ্যকর্মী হিসেবে কাজ করেন তবে বডি ফ্লুইডের সরাসরি ছোঁয়া এড়িয়ে চলুন। গ্লাভস, গাউন বা গগল যেন ঠিকঠাক থাকে।

২। যদি কোনও ভাবে ছোঁয়া লেগে যায় তাহলে অবিলম্বে এইচআইভি পরীক্ষা করিয়ে নিন। ৭২ ঘণ্টার মধ্যে প্রি-এক্সপোজার প্রফিলিক্সিস বা পিইপি ড্রাগ নিলে সংক্রমণের ঝুঁকি কমে।

সঙ্গী যখন এইচআইভি পজিটিভ-

১। যদি জানেন আপনার সঙ্গী এইচআইভি পজিটিভ তাহলে চেষ্টা করুন যাতে বডি ফ্লুইডের আদান-প্রদান না হয়।

২। এইচআইভি সঙ্গীর সন্তান ধারণ করতে চাইলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

এইচআইভি সংক্রমণের লক্ষণ কী কী?

১। সংক্রমণের দুই থেকে চার সপ্তাহের মধ্যে অ্যাকিউট রেট্রো ভাইরাল সিনড্রোম বা এআরএস দেখা দেয়। এই অবস্থাকে বলা হয় ওয়র্স্ট ফ্লু এভার। জ্বর, গলা ব্যথা, শিরা ফুলে ওঠা এর লক্ষণ। চার সপ্তাহ পর্যন্ত জ্বর থাকতে পারে।

২। নিয়মিত এইচআইভি পরীক্ষা করান।

Featured