সিলেট নগরীর কুমারগাঁওয়ের দেড়শ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ প্ল্যান্টের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সকাল সাড়ে ১১টার দিকে তিনি বিদ্যুৎ প্ল্যান্টটি উদ্বোধন করেন।
এ প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যয় হচ্ছে ৮৭৮ কোটি ৯৯ লাখ টাকা।
এর আগে শনিবার সকাল ১০টায় সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জে সার কারখানার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন তিনি। এরপর ফেঞ্চুগঞ্জের ৯০ মেগাওয়াট কম্বাইন্ড সাইকেল পাওয়ার প্ল্যান্টের দ্বিতীয় ইউনিট উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শনিবার সকাল পৌনে ১০টায় হেলিকপ্টারযোগে ফেঞ্চুগঞ্জ ন্যাচারাল গ্যাস সার কারখানার মাঠে নির্মিত হেলিপ্যাডে অবতরণ করেন। প্রধানমন্ত্রীকে হেলিপ্যাড গ্রাউন্ডে ৭ জন সিনিয়র আওয়ামী লীগ নেতা রিসিভ করেন।
এরপর প্রধানমন্ত্রী শাহজালাল ফার্টিলাইজার প্রজেক্ট শীর্ষক প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন এবং মোনাজাত করেন। এ সময় সংশ্লিষ্ট প্ল্যান্টের কর্মকর্তাসহ কয়েকজন সিনিয়র আওয়ামী লীগ নেতা তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন।
দুপুর পৌনে ১২টায় সিলেট সিটি কর্পোরেশনের ১২তলা ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন শেখ হাসিনা। এতে ব্যয় হবে ১০ কোটি ৭৯ লাখ টাকা। একই স্থানে তিনি সিলেট আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন।
এরপর দুপুরে সিলেট সার্কিট হাউজে জেলার সার্বিক উন্নয়ন কর্মকাণ্ড নিয়ে মতবিনিময় করবেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি হযরত শাহজালাল (র.) ও শাহপরানের (র.) মাজার জেয়ারত করবেন।
সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের প্রশাসক আবদুজ জহির চৌধুরী সুফিয়ান বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বিকেল ৩টায় নগরীর আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে ১৪ দলের সমাবেশে ভাষণ দেবেন। এ জনসভা সফল করতে আমরা ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছি।’
প্রসঙ্গগত, শাহাজালাল সার কারখানা সংশ্লিষ্টরা জানান, ওই প্রকল্পের কাজে ব্যয় হবে ৫ হাজার ৪০৯ কোটি টাকা। কারখানাটি নির্মাণ হলে প্রতিদিন ১ হাজার ৭৬০ মেট্রিক টন করে বার্ষিক ৫ লাখ ৮০ হাজার ৮০০ মেট্রিক টন ইউরিয়া এবং প্রতিদিন ১ হাজার মেট্রিক টন হিসাবে বছরে ৩ লাখ ৩০ হাজার টন অ্যামোনিয়া সার উৎপাদিত হবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, শাহজালাল সার কারখানা নির্মাণের জন্য সম্প্রতি চীন এবং বাংলাদেশ সরকারের মধ্যে একটি চুক্তি সম্পাদিত হয়। চুক্তি অনুযায়ী প্রকল্প বাস্তবায়নে চীন সরকার এবং চীনের এক্সিম ব্যাংক মোট ব্যয়ের ৭০ শতাংশ ঋণ দেবে। যা প্রায় ৩ হাজার ৯৮৬ কোটি টাকা। অবশিষ্ট ১ হাজার ৪২৩ কোটি টাকা বাংলাদেশ সরকার নিজস্ব তহবিল থেকে যোগান দেবে।
অবশ্য সার কারখানাটি চীন-বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়নে নির্মিত হলেও প্রযুক্তিগত কারিগরি সহায়তা দেবে আমেরিকা এবং নেদারল্যান্ড। এর নির্মাণ কাজ ২০১৫ সালের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা।