শুভেচ্ছায় সিক্ত হোক সাকিব আল হাসানের ২৪তম জন্ম দিন। তার আলোয় আলোকিত হোক দেশের ক্রিকেট। প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে প্রবাহিত হোক তার সাফল্য ধারা।
১৯৮৭ সালের এই দিনে মাগুড়া জেলায় জন্ম নিয়েছিলেন আইসিসি র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ অলরাউন্ডার সাকিব। বাংলাদেশের ক্রিকেটে নতুন দিনের বারতা নিয়ে এসেছেন তিনি। এই ২৪ বছর বয়সেই ক্রিকেট বিশ্বে নিজেকে নিয়ে গেছেন অনন্য উচ্চতায়। সাকিব আর বাংলাদেশের ক্রিকেট এখন পরিপূরক।
২০০৬ সালে অভিষেকের পর থেকে প্রতি ম্যাচেই পরিণত ক্রিকেট খেলছেন এই অলরাউন্ডার। এশিয়া কাপে অসাধারণ নৈপুণ্য প্রদর্শন করে টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড় হয়েছেন। ধারাবাহিক পারফরমেন্স দিয়ে উইজডেন এলামনাক ক্রিকেটারর্স ম্যাগাজিনের বর্ষসেরা ক্রিকেটার হয়েছিলেন ২০০৯ সালে। আইসিসি ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ে প্রায় দুই বছর শীর্ষ অলরাউন্ডার ছিলেন। সর্বশেষ টেস্ট র্যাঙ্কিংয়েও শীর্ষ অলরাউন্ডার হিসেবে জায়গা করে নিয়েছিলেন।
জাতীয় দলে তো আছেনই। খেলেছেন বাংলাদেশ এ, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড একাদশের হয়ে। জাতীয় লিগে খেলেন খুলনা বিভাগে, বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) খুলনা রয়েল বেঙ্গলসে, আইপিএলে কলকাতা নাইট রাইডার্সে। এছাড়া ইংলিশ কাউন্টি ক্রিকেটে টানা দুই মৌসুম খেলেছেন উস্টারশায়ারে। এবার খেলতে যাচ্ছেন নর্দাম্পটনশায়ারে।
২০০৭ সালে দেশের মাঠে (চট্টগ্রাম) ভারতের বিপক্ষে টেস্ট অভিষেকের পর থেকে এপর্যন্ত ২৬ ম্যাচ খেলে ১৬৩০ রান করেছেন বাঁহাতি এই অলরাউন্ডার। দু`টি শতক এবং ৯টি অর্ধশতকসহ ৯৬ উইকেট পেয়েছেন টেস্টে। ওয়ানডেতে পেয়েছেন ৫টি শতক এবং ২৫টি অর্ধশতকের পাশাপাশি ১৬০টি উইকেট নিয়েছেন। রান করেছেন ৩৬৩৫। একক বাংলাদেশি হিসেবে ওয়ানডেতে সবচেয়ে বেশি রানের রেকর্ড তারই।
ছোট্ট ক্যারিয়ারে অনেক কিছুই দেখেছেন সাকিব আল হাসান। ২০০৯ সালে অধিনায়ক হয়ে বিদেশের মাটিতে বাংলাদেশকে টেস্ট এবং ওয়ানডে সিরিজ জিতিয়েছিলেন। দেশের মাটিতে ২০১১ সালে কিউইদের করেছিলেন ধবলধোলাই। কিন্তু ২০১১ সালের আগস্টে জিম্বাবুয়ে সফর থেকে দেশে ফেরার পর তাকে অধিনায়কত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়।।