এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের সবগুলো দেশসহ সারা বিশ্বের ৭০টি সংস্থার ৪ শতাধিক বিদেশি অতিথিদের নিয়ে আগামী ১ ডিসেম্বর ঢাকায় আন্তর্জাতিক ই-আইডি (ইলেকট্রনিক আইডেন্টিফিকেশন) সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। বাংলাদেশে সাম্প্রতিককালে আন্তর্জাতিক তথ্যপ্রযুক্তি সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিত্বদের নিয়ে অনুষ্ঠিত সম্মেলনগুলোর মধ্যে এটি হবে সবচেয়ে বড় আয়োজন। বিপুল সংখ্যক বিদেশি অতিথিদের নিরাপত্তা দিতে ইতিমধ্যে কাজ শুরু করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগ সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগ ও এশিয়া প্যাসিফিক স্মার্ট কার্ড অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে আগামী ১-৩ ডিসেম্বর রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে এই ফোরাম অনুষ্ঠিত হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ ফোরাম উদ্বোধন করবেন। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়, আইসিটি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকসহ দেশ-বিদেশের প্রযুক্তিবিদরা।
ফোরামে এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের সবগুলো দেশসহ সারা বিশ্বের ৭০টি সংস্থার ৪ শতাধিক বিদেশি অতিথি উপস্থিত থাকবেন। এসব দেশের মন্ত্রী, তথ্যপ্রযুক্তিবিদ, শিক্ষক, গবেষক, উন্নয়নকর্মীসহ সংশ্লিষ্ট পেশাজীবীরা প্রতিনিধি দলের সঙ্গে যোগ দেবেন। বিশেষ এ সম্মেলনে বিদেশি অতিথিদের নিরাপদে নিয়ে আসা, ফোরাম সার্বিকভাবে পরিচালনা এবং বিমানবন্দরে অতিথিদের পৌঁছে দেয়া সরকারের কাছে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ হয়ে দেখা দিয়েছে।
আইসিটি বিভাগের ওয়েবসাইটে জানানো হয়েছে, দেশের সকল নাগরিকদের স্মার্ট সেবা দিতে বিশেষায়িত উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। একটি ইলেকট্রনিক পরিচয়পত্র বা ই-আইডি নম্বরের মাধ্যমে একজন নাগরিক যেন জীবনের সবক্ষেত্রে কোনও ধরনের জটিলতা ছাড়াই সেবা গ্রহণ করতে পারে, সেই সুবিধা দিতে নাগরিকদের ই-আইডি (ইলেকট্রনিক আইডেন্টিফিকেশন) দেবে সরকার।
আইসিটি বিভাগ মনে করছে, দেশের সব নাগরিককে একটি সমন্বিত স্মার্ট কার্ড দিতে সরকার দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছে। এরই ধারাবাহিকতায় আইসিটি বিভাগ ভাবছে, এমন একটি ই-আইডির প্রচলন করতে যেটি দিয়ে ছেলে-মেয়েদের স্কুলে ভর্তি থেকে শুরু করে ভ্যাট (মূল্য সংযোজন কর) নিবন্ধনে কাজে লাগবে। একবার যখন এই কার্ড দেয়া হবে তা যেন ব্যক্তির জীবনের শেষ মুহূর্তে ওই একই থাকে। যা ব্যক্তির পক্ষে মনে রাখা হবে সহজ এবং সহজেই ট্র্যাক করা যাবে।