তীরে এসে তরী ডোবা ম্যাচে ভীষণভাবে মর্মাহত হলেও হতাশ নয় ক্রিকেট পাগল বাংলাদেশ। এশিয়া কাপের ফাইনালে পাকিস্তানের মতো শক্তিশালী প্রতিপক্ষের বিপক্ষে মাত্র ২ রানের পরাজয় যেন অমিত সম্ভাবনারই ভিত রচনা করে দিয়েছে।
খেলা শেষেও তাই স্টেডিয়াম এলাকা থেকে যেন পা সরতে চাইছিলো না ক্রিকেটপ্রেমী দর্শকদের।
ওদিকে টুর্নামেন্ট পরিসমাপ্তির ঘোষণা রাতের আকাশে, লাল-নীল-হলুদ রঙের আতশবাজিতে বর্ণিল শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের আকাশ। এদিকে তুমুল উৎসাহ নিয়ে স্টেডিয়ামে খেলা দেখতে আসা সরব দর্শকের নীবর বাড়ি ফেরার প্রস্তুতি।
পরাজয়ের প্রাথমিক ধাক্কাটা সামলে তবু সম্ভাবনার গানই শোনা গেলো আপামর জনতার মুখে মুখে। সঙ্গে টুকরো-টাকরা আপসোসও।
‘ইস, নাজিম উদ্দিনটা যদি একটু চড়াও হতো’, ‘মাশরাফি কেন খেলতে গেলো ওই শটটা’ এমন অনেকতরো হতাশা বারবার কুরে কুরে খাচ্ছিলো আমজনতাকে। তবু বাংলাদেশ দলের খেলায় অসন্তোষ প্রকাশ করার মতো কাউকে পাওয়া গেলো না স্টেডিয়াম এলাকায়।
রাজধানীর ধানমন্ডি থেকে স্কুল পড়ুয়া ছেলেকে নিয়ে খেলা দেখতে এসেছিলেন ব্যাংক কর্মকর্তা আরিফুল ইসলাম।
প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তিনি বললেন, ‘আমরা জয়ের দ্বারপ্রান্তে এসে পৌঁছেছিলাম। অল্পের জন্য জিততে পরিনি। কিন্তু বাংলাদেশ অনেক ভালো খেলেছে। এ হারা আসলে হারা না। মাত্র ২ রানের পরাজয়ে আগামী জয়ের ভীত গড়ে উঠবে বলেই মনে করি। সবচেয়ে বড় কথা, গোটা টুর্নামেন্টেই দারুণ খেলেছে বাংলাদেশ।’
বাবার হাত ধরে থাকা ইংলিশ মিডিয়ামের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র জুনায়েদ বললেন, ‘যে প্রত্যাশা নিয়ে এসেছিলাম, তা পূরণ হয়নি। তবে বাংলাদেশ অনেক সাহসিকতার সঙ্গে খেলেছে। লড়াই করে হেরেছে। আমরা খুশি।’
প্রকৌশলী আমিনুল ইসলাম তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ‘বাংলাদেশ এশিয়া কাপে বাংলাদেশ যে পর্যায়ে এসেছে তাতে আমরা খুব আশাবাদী। এ টুর্নামেন্টে বাংলাদেশ ধারাবাহিক ভালো খেলার যে নজির গড়েছে তা ধরে রাখতে পারলে ভবিষ্যতের জন্য ভালো হবে।’