চলতি বছর আড়াই শতাধিক বাংলাদেশি শিক্ষার্থী বিদেশি মেডিকেল কলেজে ভর্তির জন্য পাড়ি জমিয়েছেন। বছর পাঁচেক আগেও দেশ থেকে প্রতি বছর কতজন ছাত্রছাত্রী বিদেশের বিভিন্ন মেডিকেল কলেজে পড়াশুনা করতে যাচ্ছেন বা তাদের মধ্যে কতজন পাস করে দেশে ফিরে আসছেন তার কোন সঠিক পরিসংখ্যান ছিল না।
কিন্তু বর্তমানে বিশ্বের যে কোন মেডিকেল কলেজে পড়াশুনা করতে যাওয়ার আগে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল (বিএমডিসি) থেকে বাধ্যতামূলকভাবে প্রি অ্যালিজিবিলিটি (যোগ্যতা) সার্টিফিকেট সংগ্রহ করা বাধ্যতামূলক করার ফলে খুব সহজেই শিক্ষার্থী সম্পর্কিত সব তথ্য খুব সহজেই পাওয়া যাচ্ছে।
বিএমডিসির রেজিষ্ট্রার ডা. জাহেদুল হক বসুনিয়া জাগো নিউজকে জানান, এক সময় দেশীয় শিক্ষার্থীদের যে কোন প্রকারের পাসের শিক্ষাগত যোগ্যতাটুকু থাকলেই বিদেশের মেডিকেল কলেজে ভর্তি হতে পারতো এবং নির্দিষ্ট মেয়াদান্তে তারা দেশে ফিরে প্রাকটিসের জন্য আবেদন করে রেজিষ্ট্রেশন নিতেন। এ পদ্ধতিতে মান নিয়ন্ত্রণ কষ্টসাধ্য ছিল।
তিনি জানান, ২০১১ সালে বিএমডিসি নতুন নিয়ম চালু করে। এ নিয়মানুসারে দেশীয় মেডিকেলে ভর্তির জন্য শিক্ষার্থীদের যে ধরনের ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা (জিপিএ ৮) কিংবা সমমানের থাকতে হয়, বর্তমান নিয়মে বিদেশের মেডিকেলে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদেরকেও ন্যূনতম জিপিএ’র ফলাফল থাকতে হবে।
বিএমডিসির কাছে আবেদন করে পড়তে যাওয়ার আগে প্রাক যোগ্যতা সার্টিফিকেট সংগ্রহ করতে হয়। কোন শিক্ষার্থী প্রাক সার্টিফিকেট ছাড়া বিদেশের মেডিকেলে পড়াশুনা করে পাশ করলেও বিএমডিসি তাকে রেজিষ্ট্রেশন প্রদান করবে না বলে তিনি জানান।
বিএমডিসি সূত্রে জানা গেছে, ২০১১ সাল থেকে ২০১৫ সালের অক্টোবর মাস পর্যন্ত মোট ১০৮৯ জন শিক্ষার্থী প্রাক যোগ্যতা সার্টিফিকেট সংগ্রহ করেছে। তন্মধ্যে চলতি বছর এখন পর্যন্ত ২৫৬ জন সার্টিফিকেট নিয়েছে। ডিসেম্বর পর্যন্ত এ সার্টিফিকেট সংগ্রহের সময় রয়েছে।
বিএমডিসির একজন কর্মকর্তা জানান, প্রাক শিক্ষাগত যোগ্যতা সার্টিফিকেট কারা নিচ্ছেন সেই তথ্য থাকলেও তারা বিদেশের কোন মেডিকেল ডেন্টাল কলেজে ভর্তি হয়েছেন সে তথ্য নেই। তারা পাশ করে দেশে ফেরা শুরু হলে তখন সার্বিক তথ্য পাওয়া যাবে। তবে অতীত অভিজ্ঞতায় তারা দেখেছেন বাংলাদেশি বেশীরভাগ শিক্ষার্থী চীন, ভারত, পাকিস্তান ও ফিলিপাইনে ডাক্তারি পড়তে যেতো।