মানবতাবিরোধী অপরাধে বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরী এবং জামায়াত নেতা আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়ায় স্বস্তি প্রকাশ করেছেন মন্ত্রিসভা। সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে এই স্বস্তি প্রকাশ করা হয়। বৈঠকের পর শেখ হাসিনার সরকারের দু’জন প্রভাবশালী সদস্য এই কথা জানান। পাশাপাশি তারা নিজেরাও সাকা-মুজাহিদের রায় কার্যকর করায় স্বস্তি প্রকাশ করেন।
সূত্র জানায়, মন্ত্রিসভার অনানুষ্ঠানিক আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী নিজেই ফাঁসি কার্যকরের বিষয়টি সামনে নিয়ে আসেন। এ সময় কয়েকজন সদস্য সরকারের এবং প্রধানমন্ত্রীর দৃঢ় অবস্থানের প্রশংসা করেন। তারা সাকা ও মুজাহিদের মতো তথাকথিত প্রভাবশালী দুই মানবতাবিরোধীর ফাঁসি কার্যকর সরকারের কঠোর পদক্ষেপ বলে জানান।
জানতে চাইলে মন্ত্রিসভার ওই দুই সদস্য বলেন, স্বাভাবিকভাবেই অন্যদিনগুলোর থেকে আজ (সোমবার) আমরা বেশি ফুরফুরে। বলতে পারেন ‘আনন্দিত’। জীবিত অবস্থায় সাকা ও মুজাহিদের ফাঁসি কার্যকর দেখতে পারলাম, এটা বড় অভিজ্ঞতা।
তারা আরো বলেন, সাকা ও মুজাহিদ দুইজনই প্রভাবশালী। এর মধ্যে সাকার ঔদ্ধত্য আচরণ এবং অত্যাচার আমরা দেখেছি। সে (সাকা চৌধুরী) বিএনপির মতো বড় একটি রাজনৈতিক দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য। এদের ফাঁসি কার্যকর সরকারের মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারে কঠোর পদক্ষেপের প্রতিফলন।
গণমাধ্যমকে প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ
এদিকে, সাকা ও মুজাহিদের ফাঁসি কার্যকরের খরব বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমগুলোতে গুরুত্ব সহকারে প্রচারের বিষয়টি নজরে এসেছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। তবে কিছু ক্ষেত্রে তিনি মর্মাহত হয়েছেন।
মন্ত্রিসভায় শেখ হাসিনা বলেন, অনেক টিভি চ্যালেন সাকা ও মুজাহিদের পরিবারের কান্নার দৃশ্য প্রচার করেছে। কিন্তু তারা যে অপরাধ করেছে সেটি প্রচার করেনি। এসব ব্যাপারে সংবাদ মাধ্যমগুলোকে আরো দায়িত্বশীল হওয়া জরুরি।