নিজামীর আপিল শুনানি মঙ্গলবার পর্যন্ত মুলতবি

নিজামীর আপিল শুনানি মঙ্গলবার পর্যন্ত মুলতবি

95একাত্তরে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ড থেকে খালাস চেয়ে জামায়াত নেতা মতিউর রহমান নিজামীর করা আপিল আবেদনের ওপর শুনানি মঙ্গলবার পর্যন্ত মুলতবি করা হয়েছে। আগামীকাল মঙ্গলবার আপিল আবেদনের ওপর আবারো শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।

সোমবার আদালতে চতুর্থ দিনের মত তার আইনজীবী এসএম শাহজাহান পেপারবুক থেকে পাঠ করছেন। আইনজীবী মামলায় প্রসিকিউশনের আনা অভিযোগের দুই, তিন ও ছয় নম্বর অভিযোগ যে সকল সাক্ষীর জবানবন্দি পেশ করেছিল তা পড়েছেন। পরে মামলার শুনানির জন্য মঙ্গলবার দিন ঠিক করেন।

প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে আপিল বিভাগের চার বিচারপতির বেঞ্চ এই আদেশ দেন। বেঞ্চের অন্য সদস্যরা হচ্ছেন- বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা, বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ও বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।

এর আগে গত ১৯ নভেম্বর তৃতীয় দিনের মতো শুনানি করেন তার আইনজীবী। তারও আগে গত ৯ সেপ্টেম্বর আপিলের চূড়ান্ত শুনানি শুরু হয়। ওই দিন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম আদালতে শুনানি শুরু করেন। পরে নিজামীর আইনজীবী জয়নাল আবেদীন তুহিন নথিপত্র পাঠ করেন।

মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধে ২০১৪ সালের ২৯ অক্টোবর নিজামীকে মৃত্যুদণ্ড দেয় আদালত। পরে রায়ের বিরুদ্ধে ২০১৪ সালের ২৩ নভেম্বর আপিল করা হয়। ৬ হাজার ২৫২ পৃষ্ঠার ডকুমেন্ট পেশ করে তাতে ১৬৮টি কারণ উল্লেখ করে দণ্ড থেকে খালাস চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় অ্যাডভোকেট অন রেকর্ড জয়নুল আবেদীন তুহিন এ আপিলটি দাখিল করেন। ১২১ পৃষ্ঠায় মূল আপিল আবেদনের সঙ্গে ৬ হাজার ২৫২ পৃষ্ঠার নথিপত্র দাখিল করা হয়েছে। মূল আপিলে ১৬৮টি গ্রাউন্ড পেশ করে দণ্ড থেকে খালাস চাওয়া হয়েছে।

নিজামীর বিরুদ্ধে প্রসিকিউশনের ১৬টি সুনির্দিষ্ট অভিযোগের মধ্যে ৮টি অভিযোগ সন্দেহাতীত ভাবে প্রমাণিত হয়। ১, ২, ৩, ৪, ৬, ৭, ৮ ও ১৬ নম্বর অভিযোগ প্রমাণ হয়েছে। এর মধ্যে ২, ৪, ৬ ও ১৬ নম্বর অভিযোগে নিজামীকে মৃত্যুদণ্ড দেয় ট্রাইব্যুনাল। ১, ৩,৭ ও ৮ নম্বর অভিযোগে তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়। এছাড়া ৫, ৯, ১০ থেকে ১৫ নম্বর অভিযোগ প্রমাণ না হওয়ায় এসব অভিযোগ থেকে তাকে অব্যাহতি (খালাস) দেয়া হয়।

ট্রাইব্যুনালের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আসা এটি ষষ্ঠ মামলা। এর আগে ট্রাইব্যুনালের রায়ের বিরুদ্ধে আনা আরো ৫টি মামলা আপিলে নিস্পত্তি হয়েছে।

বাংলাদেশ