জামায়াতের ডাকা হরতালে আজ সোমবার জনজীবন স্বাভাবিক রয়েছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ঢাকার রাজপথে কোথাও জামায়াতের নেতা-কর্মীদের পিকেটিং, নাশকতা বা কর্মকাণ্ড নেই। দূরপাল্লার কিছু যান ছাড়া যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। প্রধান প্রধান সড়কে যানজট রয়েছে।
মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে দলের সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদের ফাঁসি কার্যকরের প্রতিবাদে আজ হরতাল ডেকেছে জামায়াত।
বেলা ১১টার দিকে ঢাকার ফার্মগেট, শ্যামলী, শাহবাগ, মহাখালীতে যানজট দেখা গেছে। গণপরিবহন স্বাভাবিকভাবে চলাচল করছে। তবে ব্যক্তিগত গাড়ির সংখ্যা কিছুটা কম। ব্যাংক কর্মকর্তা শেখ নাজমুল রহমান বলেন, তাঁর বাড়ি মোহাম্মদপুরের জাকির হোসেন সড়কে। সেখান থেকে প্রতিদিন মোটরসাইকেলে করে তিনি গুলশান ১ এ অফিসে যান। আজ সকাল ৯টা ১২ মিনিটের দিকে তিনি রওনা হয়েছেন। অফিসে যাওয়ার পথে কোথাও কোনো সমস্যায় পড়েননি। এর মধ্যে ফার্মগেট ও বিজয় সরণিতে কিছুটা যানজটে পড়েছেন।
গুলিস্তানে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ নাসিরউদ্দিন সরকার বলেন, মাওয়া, নরসিংদী, দাউদকান্দিসহ আশপাশের এলাকার বাস সময়মতো ছেড়েছে।
গাবতলীতে বিভিন্ন এলাকা থেকে নৈশকোচ আজ ভোরে সময়মতো এসে পৌঁছেছে। তবে গাবতলী, সায়েদাবাদ, মহাখালী থেকে এ পর্যন্ত দূরপাল্লার কোনো বাস ছাড়েনি। কমলাপুর রেলস্টেশনে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। ঢাকা রেলওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল মজিদ বলেন, প্রতিটি ট্রেনে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছে। রেলপুলিশসহ সাদা পোশাকের পুলিশ বাড়ানো হয়েছে। কোনো ধরনের নাশকতার খবর পুলিশের কাছে নেই।
পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার বিপ্লব সরকার বলেন, হরতাল মোকাবিলায় তাদের সর্বাত্মক প্রস্তুতি রয়েছে। নাশকতা না হলেও জনজীবন স্বাভাবিক রাখতে গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলোতে প্রচুর পুলিশ মোতায়েন আছে। পুলিশের পাশাপাশি র্যাবের দলকেও দেখা গিয়েছে। পুলিশের অস্থায়ী তল্লাশি চৌকি বসানো হয়েছে।