জিনেদিন জিদান থেকে রোনাল্ডিনহো।
আলফ্রেদো দি’স্তেফানো থেকে দিয়েগো ম্যারাডোনা।
এল ক্লাসিকো-র মঞ্চ মহাতারকাদের প্রতিভার সাক্ষী। যুগ পাল্টেছে। প্রতিদ্বন্দ্বিতার চেহারাও। গত ছয় বছর লা লিগার এই মেগা ম্যাচ হয়ে উঠেছে একই সঙ্গে দুই সেরা প্রতিভার নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণের চূড়ান্ত মঞ্চ। তার আগে কোনও দিন হয়নি যে, ব্যালন ডি’অরের দুই প্রধান দাবিদার এল ক্লাসিকোয় খেলছেন। এই ছয় বছরই ব্যালন ডি’অর ভাগাভাগি হয়েছে এই দুই মহাতারকার মধ্যে।
লিওলেন মেসি আর ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো।
চব্বিশ ঘণ্টা পরেই চলতি মরসুমের প্রথম এল ক্লাসিকো। যুদ্ধের প্রেক্ষাপট রিয়াল মাদ্রিদের ঘরের মাঠ বের্নাবাও। কিন্তু এবার যেন ভিন্ন তাৎপর্য নিয়ে হাজির এই মহাযুদ্ধের দুই শিরোনাম!
প্রায় দশ বছর আগে রিয়াল মাদ্রিদ ডিফেন্ডারদের লিও মেসি নামক বার্সেলোনা-মহাপ্রতিভাকে আটকানোর দুরূহ কাজটা প্রথম বার করতে হয়েছিল। কিন্তু শনিবার রাতে তার ক্লাসিকোর দশ বছর পূর্তি হয়তো রিজার্ভ বেঞ্চে বসেই পালন করতে হবে মেসিকে! সেপ্টেম্বর থেকে চোট নিয়ে মাঠের বাইরে এলএম টেন। ক্লাসিকোর আগে প্র্যাকটিস শুরু করলেও ম্যাচের আগের দিন সাংবাদিক সম্মেলনে বার্সা কোচ লুইস এনরিকে বলেছেন, ‘‘মেসিকে এই ম্যাচে খেলাব কি খেলাব না এখনও জানি না। কিন্তু ওর চোট সেরে গিয়েছে এতেই আমি খুশি।’’ দলেও থাকবেন কি না সেটাও চূড়ান্ত হবে ফিটনেস টেস্টের পর।
মেসির অভাবে অবশ্য চলতি লা লিগায় বার্সেলোনার ভরসার দুই স্তম্ভ হয়ে উঠেছেন নেইমার আর সুয়ারেজ। দেশের জার্সিতে নেইমার শেষ দু’টো ম্যাচে সাধারণ হলেও ক্লাবের জার্সিতে ব্রাজিলের ওয়ান্ডারকিড স্বমেজাজেই। ম্যাচের পর ম্যাচে গোল করে চলেছেন। সঙ্গে দোসর সুয়ারেজ। এহেন যুগলবন্দি সত্ত্বেও বার্সার বহু যুদ্ধের সফল ঘোড়া জাভি মনে করেন, শনিবাসরীয় ক্লাসিকোর অনেকটা ভাগ্য মেসির থাকা না-থাকার উপর নির্ভর করছে। ‘‘মেসির ফিটনেসের উপরই নির্ভর করছে সব। ও থাকলে আমরা আরও শক্তিশালী হব।’’
মেসি যখন ক্লাসিকোয় বেঞ্চে বসতে চলেছেন, রোনাল্ডোর আবার তখন হয়তো এটাই বের্নাবাওতে শেষ এল ক্লাসিকো! গোটা ইউরোপীয় ফুটবল মিডিয়ার খবর, রিয়াল কর্তাদের সঙ্গে সিআর সেভেনের সম্পর্ক দিনের পর দিন খারাপ থেকে খারাপতর হচ্ছে। কোচ রাফায়েল বেনিতেজের উপর এতটাই রাগ রোনাল্ডোর যে, পরের মরসুমেই চলে যেতে পারেন পুরনো ডেরা ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডে, কিংবা প্যারিস সাঁ জাঁ-এ ইব্রাহিমোভিচের সতীর্থ হতে। আপাতত ক্লাসিকোর আগে অবশ্য রোনাল্ডো প্রসঙ্গ এড়িয়ে বেনিতেজের মুখে শুধুই দল। ‘‘লা লিগা জিততে এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ। আমরাই ফেভারিট। ঘরের মাঠে খেলব। আমাদের একটাই লক্ষ্য- আক্রমণ।’’- সংবাদমাধ্যম