একাদশে লিওনেল মেসি ছিলেন না। কিন্তু বার্সেলোনার যে এখন আর জিততে মেসিকে লাগে না সেটা তো সর্বশেষ কয়েকটি ম্যাচেই প্রমাণ করেছেন নেইমার-লুইস সুয়ারেজরা। আজ আরও একবার করলেন, এবং সেটা চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে! ইভান রাকিটিচের বদলি হিসেবে মেসি যখন মাঠে নামেন, সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে ম্যাচের ৫৭ মিনিট পেরিয়ে গেছে। বার্সেলোনাও এগিয়ে ৩-০ গোলে! একটি গোল সুয়ারেজের, একটি নেইমারের, অন্যটি আন্দ্রেস ইনিয়েস্তার।
পরে সুয়ারেজ আরও একটি গোল করে ব্যবধান ৪-০ করেছেন। মাঠে গড়ানোর আগে প্রবল প্রতিদ্বন্দ্বিতার ঝাঁজ ছড়িয়েছিল যে ম্যাচ, সেটাকে প্রায় একতরফা বানিয়ে জিতে নিল বার্সেলোনা। নিজের মাঠে লজ্জাজনকভাবে এল ক্লাসিকো হারের তিক্ত স্বাদ পেল রিয়ালও।
১১ মিনিটেই মেসির জায়গায় খেলতে নামা সার্জিও রবার্তোর দুর্দান্ত এক পাস থেকে লুইস সুয়ারেজের ডান পায়ের শটে এগিয়ে যায় বার্সেলোনা। বার্সেলোনার হয়ে সব ধরনের প্রতিযোগিতায় এ নিয়ে টানা ৫ ম্যাচে গোল পেলেন সুয়ারেজ। বার্সেলোনাও এ নিয়ে এল ক্লাসিকোতে টানা ২০ ম্যাচে গোল পেল।
২৬ মিনিটে ডিফেন্ডার হাভিয়ের মাচেরানো চোট পেয়ে মাঠ ছেড়ে গেলে একটা ধাক্কা খায় বার্সেলোনা। পরের মিনিটেই রিয়াল মিডফিল্ডার হামেস রদ্রিগেজের একটা দুর্দান্ত শট ঠেকিয়ে দেন বার্সেলোনা গোলরক্ষক ক্লদিও ব্রাভো। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে, প্রথমার্ধে বার্সেলোনার গোলমুখে ওই একটাই শট রিয়ালের! আসলে রিয়ালকে দাঁড়াতেই দেয়নি বার্সা।
৩৯ মিনিটে আন্দ্রেস ইনিয়েস্তার পাস থেকে নেইমারের বাঁ পায়ের দারুণ ফিনিশিংয়ে ২-০ গোলে এগিয়ে যায় বার্সেলোনা। তখন পর্যন্ত লিগে বার্সেলোনার সর্বশেষ ১৯ গোলের সবগুলোই এসেছে হয় সুয়ারেজ, নয় নেইমারের পা থেকে। এ ম্যাচে বার্সেলোনার প্রথম দুটি গোলের জন্যই অবশ্য সবচেয়ে বেশি দায় সার্জিও রামোসের। সুয়ারেজের গোলের সময় জায়গায় ছিলেন না রিয়াল ডিফেন্ডার, পরের গোলটাতেও নেইমারকে আটকাতে ব্যর্থ তিনি। ব্যবধান প্রথমার্ধেই ৩-০ হয়ে যেতে পারত। কিন্তু প্রথমার্ধের যোগ হওয়া সময়ে নেইমারের সঙ্গে ওয়ান-টু খেলার পর সুয়ারেজের শট প্রায় নিশ্চিত গোল হয়ে যাওয়ার অবস্থায় হেড করে বাঁচিয়ে দেন রিয়াল ডিফেন্ডার মার্সেলো।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই খেলায় ফিরতে মরিয়া হয়ে উঠে রিয়াল। মিনিট চারেকের মধ্যেই রদ্রিগেজের আরও একটি জোরালো শট ঠেকিয়ে দেন ব্রাভো। কিন্তু রিয়াল তো খেলায় ফিরতে পারলই না, উল্টো ৫৩ মিনিটে নেইমারের ব্যাকহিল থেকে বল পেয়ে বার্সেলোনাকে ৩-০ গোলে এগিয়ে দেন আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা। রিয়ালের ম্যাচে ফেরার আশা প্রায় শেষ হয়ে যায় ওই গোলের পরই। কিন্তু নিজের মাঠে লস ব্লাঙ্কোদের ভোগান্তি যে তখনো শেষ হয়নি। ৭৪ মিনিটে জর্ডি আলবার পাস থেকে নিজের দ্বিতীয় গোলটি করে রিয়ালকে ম্যাচ থেকে একেবারে ছিটকে দেন সুয়ারেজ।
এর আগে পরে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো, গ্যারেথ বেল আর করিম বেনজেমারা বেশ কয়েকটি সুযোগ তৈরি করেছেন বটে, কিন্তু কখনোই মনে হয়নি এ ম্যাচে রিয়াল ঘুরে দাঁড়াতে পারবে। উল্টো নেইমারকে ফাউল করে ৮৪ মিনিটে লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়তে হয় ইসকোকে।
লাইভ
৯০ মিনিট : রোনাল্ডোর শট বাঁচালেন ব্রাভো৷
৮৪ মিনিট : নেইমারকে মেরে লাল কার্ড দেখলেন ইসকো৷
৭৮ মিনিট : গোল করতে পারলেন না বেনজিমা৷
৭৪ মিনিট : সুয়ারেজ গোল করে ৪-০ করলেন৷
৭১ মিনিট : মেসি থেকে সুয়ারেজ৷ গোল করতে পারলেন না ৷
৬৫ মিনিট : নেইমার থেকে মেসির শট বাইরে৷
৫৭ মিনিট – মাঠে নামলেন লিওনেল মেসি ৷
৫৩ মিনিট : জোরালো শটে গোল করলেন ইনিয়েস্তা৷ ৩-০ গোলে এগিয়ে বার্সেলোনা৷
দ্বিতীয়ার্ধের খেলা শুরু৷
বিরতিতে ২-০ গোলে এগিয়ে বার্সেলোনা ৷
৪৬ মিনিট : গোল পেলেন না নেইমার ৷
৩৮ মিনিট : ইনিয়েস্তা থেকে গোল করলেন নেইমার ৷ ২-০ গোলে এগিয়ে গেল বার্সা৷
৩৭ মিনিট : রিয়ালের আক্রমণ ৷ কোনওক্রমে বাঁচল বার্সা৷
৩০ মিনিট : ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোকে ফাউল করলেন ড্যানি অ্যালভেস ৷
২৩ মিনিট : হলুদ কার্ড দেখানো হল জেমস রডরিগেজকে৷
১৮ মিনিট : এক গোলেই এগিয়ে বার্সা৷ স্কোর ১-০ ৷
১১ মিনিট : সুয়ারেজের গোলে এগিয়ে গেল বার্সেলোনা ৷স্কোর ১-০ ৷
খেলা শুরু ৷