‘৪৪ বছর ধরে অসহ্য মানসিক যন্ত্রণা নিয়ে আমি এ দিনটির জন্য অপেক্ষা করছিলাম। চোখের সামনে পিতার হত্যাকারী বুক ফুলিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে এটা দেখা ও সহ্য করা যে কতটা কষ্টের তা বলে বুঝানো যাবে না।’ ‘জীবিত অবস্থায় পিতৃহত্যার বিচার দেখে যেতে পারলাম, এটাই আমার জন্য সবচেয়ে বড় আনন্দের।’
কান্নাজড়িত কণ্ঠে এমনই বলেন নিহত অধ্যক্ষ নূতন চন্দ্র সিংহের ছেলে প্রফুল্ল রঞ্জন সিংহ।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানিয়ে সাকার বিরুদ্ধে মামলার এই সাক্ষী বলেন, ‘তার (শেখ হাসিনা) মতো সাহসী প্রধানমন্ত্রী না থাকলে এটা কোনো দিনই সম্ভব হতো না।’
গত ২১ নভেম্বর শনিবার দিবাগত রাতে রাউজানের গহিরায় কু-েশ্বরী ভবনে তিনি বলেন, ‘আজ বাংলাদেশ আবার স্বাধীন হয়েছে, রাউজান আবার স্বাধীন হয়েছে। আমি খুবই সন্তুষ্ট ও আনন্দিত।’
আর্য়ূবেদ শাস্ত্রে প্রতিষ্ঠিত হয়ে উনিশ শতকের প্রথমার্ধে রাউজানে নিজ বাড়িতে নারী শিক্ষার জন্য বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেন নূতন চন্দ্র সিংহ। প্রায় ৩ দশক ধরে আমৃত্যু তিনি শিক্ষা বিস্তারে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন।