১০ হাজার বিনিয়োগকারীর ১৩ কোটি টাকা সুদ মওকুফের সিদ্ধান্ত

১০ হাজার বিনিয়োগকারীর ১৩ কোটি টাকা সুদ মওকুফের সিদ্ধান্ত

ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের জন্য বিশেষ প্রণোদনা প্যাকেজে সবার আগে মার্জিন ঋণের সুদ মওকুফ সুবিধা পেতে যাচ্ছেন ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি) এর ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীরা।

মূল আইসিবি ও আইসিবির বিভিন্ন শাখা সিকিউরিটিজে লেনদেন করে ক্ষতিগ্রস্ত ৯ হাজার ৯৭৪ জন ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীর এই সুদ মওকুফের পরিমাণ ১২ কোটি ৭৮ লাখ টাকা।

বৃহস্পতিবার আইসিবির বোর্ড সভায় এটি চূড়ান্ত করা হয়েছে বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।

এ বিষয়ে ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি)’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম ফায়েকুজ্জামান বলেন, আইসিবি’র বোর্ড সভায় ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের মার্জিন ঋণের সুদ মওকুফের বিষয়টি চূড়ান্ত অনুমোদন করা হয়েছে।

তবে কি পরিমাণ সুদ মওকুফ করা হয়েছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান।

তিনি বলেন, ‘২০১১ সালে (জানুয়ারি-ডিসেম্বর পর্যন্ত) এক বছরে যে সকল ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারী মার্জিন লোন নিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তাদের মোট সুদের অর্ধেক সুদ মওকুফ করার বিষয়টি বোর্ড সভায় অনুমোদন করা হয়েছে। শিগগিরই পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়ে বিনিয়োগকারীদের সুদ মওকুফের বিষয়টি জানিয়ে দেয়া হবে।’

এম ফায়েকুজ্জামান বলেন, ‘ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীদের এই সুবিধা পাওয়ার জন্য একটি আবেদন ফরম তৈরি করা হবে, ওই আবেদন ফরমের মাধ্যমে তারা আবেদন করবে।’ র্পযায়ক্রমে স্কিমের আওতায় (১০ লাখ টাকার মধ্যে) সকল বিনিয়োগকারী এই সুবিধা পাবে বলে তিনি জানান।

উল্লেখ্য, ‘পুঁজিবাজারে ভয়াবহ ধস দেখা দিলে গত ১৬ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করে অর্থমন্ত্রণালয়সহ বাজার সংশ্লিষ্টরা। এরপর ২২ নভেম্বর এসইসি প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করে এবং ২৭ নভেম্বর সরকারের এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে পুঁজিবাজারের ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ সংরক্ষণে বিশেষ স্কিম তৈরির লক্ষ্যে ৬ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়।

পরবর্তীতে কমিটির কাজের সুবিধার্থে একজন সদস্য বাড়ানো হয়।

কমিটির আহ্বায়ক করা হয় আইসিবি’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ফায়েকুজ্জামানকে।

পরবতীতে এই কমিটি প্রতিবেদন জমা দেয় সরকারকে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের ক্ষতি পুষিয়ে দিতে গত ৪ মার্চ রোববার আর্থিক প্রণোদনা ঘোষণা করে সরকার। প্রণোদনা প্যাকেজের আওতায় যেসব বিনিয়োগকারী ২০০৯ সালের জানুয়ারি থেকে ২০১১ সালের নভেম্বর পর্যন্ত সর্বোচ্চ ১০ লাখ টাকা বিনিয়োগ করে মূলধন খুইয়েছেন তারা এই সুবিধা পাবেন। এছাড়াও মার্জিন ও নন মার্জিন উভয় ক্ষেত্রে ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীদের জন্য ২০১২ ও ২০১৩ সালে ইস্যুকৃত সব পাবলিক ইস্যুতে ২০ শতাংশ কোটা বরাদ্দ রাখা হচ্ছে।

ঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজে ১০ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেছেন এমন বিনিয়োগকারীদের এক বছরের মার্জিন ঋণের ছয় মাসের সুদ পুরোপুরি মওকুফ করা হচ্ছে। সরকার ঘোষিত এই প্রণোদনা প্যাকেজের আওতায় আইসিবির বিনিয়োগকারীরা সবার আগে সুবিধা পাচ্ছেন।

অর্থ বাণিজ্য