মুক্তিযুদ্ধে বিদেশিদের সম্মাননা : ৪ জন এরই মধ্যে ঢাকায়

মুক্তিযুদ্ধে বিদেশিদের সম্মাননা : ৪ জন এরই মধ্যে ঢাকায়

মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে হানাদার পাকিস্তানের হাত থেকে স্বাধীন বাংলাদেশ জন্মের সময়ে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ সম্মাননা পাওয়া বিদেশিরা ঢাকায় আসতে শুরু করেছেন। ৪ জন এরই মধ্যে ঢাকায় এসেছেন।

সম্মাননা জানাতে পররাষ্ট্র ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সমন্বয় কমিটির একজন কর্মকর্তা শুক্রবার সন্ধ্যায় বাংলানিউজকে এ তথ্য জানান।

এ পর্যন্ত ঢাকায় এসেছেন সায়মন ড্রিং, মিসা ব্রোজ, অ্যাম্বাসেডর গোরান এলেকসিক ও আনা ব্রাউন টেইলরের মেয়ে সিমন সুলতানা।

১৩২ জনের বাকিরা ধারাবাহিকভাবে আগামী ৩ দিনের মধ্যে আসবেন। সর্বশেষ ২৭ তারিখে অনুষ্ঠানের কিছু সময় আগে আসবেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার।

২৭ মার্চ সম্মাননার এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে সরকার। সেদিন ১৩২ ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠানকে সম্মাননা জানানো হবে।

সম্মাননা অনুষ্ঠানের ব্যাপারে বিস্তারিত জানাতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনি ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ক্যাপ্টেন (অব.) এম তাজুল ইসলাম শনিবার বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেছেন।

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী তাজুল ইসলাম এ ব্যাপারে জানান, ‘যারা বেঁচে নেই তাদের আত্মীয় বা প্রতিনিধির কাছে এই সম্মাননা দেওয়া হবে। তাদেরও ঢাকায় আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।’

দীর্ঘ প্রায় দু’ বছর যাচাই বাছাই শেষে এই ১৩২ নাম নির্বাচন করা হয়েছে।

সম্মাননার জন্য চূড়ান্ত হওয়া তালিকায় ভারতীয় জনগণ ও মিত্রবাহিনী ছাড়াও ৪৩ জন ভারতীয়, ২১ জন মার্কিন, ১০ জন রুশ ও ১২ জন ব্রিটিশ নাগরিক ছাড়াও রাশিয়া, সাবেক যুগোশ্লাভিয়া, ইতালি, জাপান, নেপাল, কিউবা, আর্জেন্টিনা, ভিয়েতনাম, জার্মানি, আয়ারল্যান্ড, ভেনেজুয়েলা, সুইজারল্যান্ড, ভুটান, সুইডেন, ডেনমার্ক, মালয়েশিয়া, শ্রীলংকা, নেদারল্যান্ড, দক্ষিণ কোরিয়া, পোল্যান্ড, ফ্রান্স, অস্ট্রেলিয়া, অস্ট্রিয়া ও কানাডার নাগরিক ও সংস্থা এ সম্মাননা পাচ্ছেন।

তালিকায় থাকা ভারতীয়রা হলেন- শচীন্দ্র লাল সিংহ, রাজ্যেশ্বর রাও, সিদ্ধার্থ শংকর রায়, পি এ সাংমা, বিচারপতি সা’দত আবুল মাসুদ, মহারানী বিভা কুমারী দেবী, প্রফেসর দিলীপ চক্রবর্তী, সমর সেন, দেবদুলাল বন্দ্যোপাধ্যায়, পণ্ডিত রবিশংকর, ওস্তাদ আকবর আলী খাঁ, মাদার তেরেসা, ওয়াহিদা রহমান, সুনীল দত্ত, জে পি নারায়ণ, জ্যোতি বসু, গৌরী প্রসন্ন মজুমদার, অন্নদা শংকর রায়, জগজীবন রাম, অরুন্ধতি ঘোষ, ভূপেশ গুপ্ত, কাইফি আজমী, ভূপেন হাজারিকা, অ্যাডভোকেট সুব্রত রায় চৌধুরী, ফিল্ড মার্শাল এসএএম মানেকশ, লেফটেন্যান্ট জেনারেল জগজিৎ সিং অরোরা, লেফটেন্যান্ট জেনারেল জ্যাকব, ল্যান্স নায়েক আলবার্ট এক্কা পরমী বীরচক্র, নারায়ণ দেশাই, মানিক সরকার, আইপি গুপ্ত, জি বি হাসপাতালের সার্জন সুপারিনটেন্ডেন্ট ডা. রথিন দত্ত, রওশন আরা বেগম সামা, দশরথ দেব বর্মন, লতা মুঙ্গেশকর, ডিপি ধর, জেনারেল উবান, গোলক মজুমদার, পিএন হাকসার, ড. কিরণ সিং, সরদার শরণ সিং, শরৎ চন্দ্র সিংহ এবং ভারতীয় জনগণ ও মিত্রবাহিনী।

রাশিয়া : নিকোলাই ভিক্টোরোভিচ পোডগরনি, আঁদ্রে গ্রোমিকো, ইয়াকভ আলেকজান্দ্রোভিচ মালিক, আলেক্সি নিকোলেভিচ কোসিগিন, প্রফেসর ভাদিমির স্ট্যানিস, লিওনেড ব্রেজনেভ, নিকোলাই ফিরোবিন, আনাতলি ডবরিনিন, অ্যাডমিরাল জুয়েনকু ও তার দল এবং সিপিএসইউ এর ১৭ সদস্য বিশিষ্ট পলিটব্যুরো।

যুক্তরাষ্ট্র : সিনেটর এডওয়ার্ড মুর কেনেডি, রিচার্ড টেনলর, প্রফেসর রবার্ট ডরফিনান, আনা ব্রাউন টেনলর, আর্চার কে ব্ল্যাড, লিয়ার লেভিন, ফাদার উইলিয়াম রিচার্ড টিম, সিনেটর ফ্রেড রয় হেরিস, টমাস ডাইন, ডা. জোসেফ গার্স্ট, সিনেটর ফ্রাংক চার্চ, উইলিয়াম গ্রিনো, এডওয়ার্ড সি মেসন, প্রফেসর এডওয়ার্ড সি ডিকম জুনিয়র, ডেভিড ওয়াইজব্রড, অ্যালেন গিনসবার্গ, সিনেটর উইলিয়াস স্যাক্সবি, সিনেটর জর্জ ম্যাকগাভার্ন, কংগ্রেসম্যান মর্নেলিয়াস গ্যালাগার, শহীদ ফাদার উইলিয়াম ইভান্স ও প্রফেসর জে কেনেথ গলব্রেথ।

ব্রিটেন : স্যার এডওয়ার্ড রিচার্ড জর্জ হিথ, লর্ড হ্যারল্ড উইলসন, লর্ড রিচার্ড ডেভিড শোর, মাইকেল বার্নস, সায়মন ড্রিং, জর্জ হ্যারিসন, ব্রুস ডগলাস ম্যান, জুলিয়াস ফ্রান্সিস, পল কানেট, ইলেন কানেট, বিমান মল্লিক ও মার্ক টালি।

যুগোশ্লাভিয়ার মার্শাল জোসেফ টিটো। ইতালির ফাদার মারিও ভ্যারোনিচি। জাপানের তাকাশি হায়াকাওয়া, প্রফেসর ইওসি নারা, কাতামাসা সুজুকি, নাওয়াকি উসুই। নেপালের ড. রাম রামন যাদব ও বি পি কৈরালা। কিউবার ফিদেল ক্যাস্ত্রো। আর্জেন্টিনার ভিক্টোরিয়া ওকাম্পো, হোর্হে লুইস বোর্হেস। ভেনেজুয়েলার কার্দেনাল হোসে উমবের্তো কিনতারো।

সুইজারল্যান্ডের প্রফেসর জ্যঁ জিলার এমপি। ভুটানের জিগমে দর্জি ওয়াংচুক। সুইডেনের ওলফ পামে ও প্রফেসর গানার মিরডাল। ডেনমাকের ড. কার্সটিন ওয়াস্টার গার্স্ট। মালয়েশিয়ার ড. এ সুরিয়ান। শ্রীলংকার স্যার সেনারতœ গুণবর্ধন।

নেদারল্যান্ডসের ডমসেস কিনটেন ওয়াটে বাগ। দক্ষিণ কোরিয়াল হং সুক জা। পোল্যান্ডের অগাস্ট জালেস্কি। ভিয়েতনামের মাদার বিন। জার্মানির উইলি ব্রান্ট, বারবারা দাশগুপ্ত, সুনীল দাশগুপ্ত, এরিক হোয়েনকার। অস্ট্রেলিয়ার উইলিয়াম এ এস ওরিল্যান্ড বিপি। অস্ট্রিয়ার রুনো ক্রেইস্কি। কানাডার পিয়ার ট্রুডো। আয়ারল্যান্ডের শন ম্যাকব্রাইড, ব্যারিস্টার নোরা শেরিফ, কিরিল্লোউইচ কোস্কই (মার্শাল অব সোভিয়েত ইউনিয়ন ১৯৭১)

সংগঠন ও প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে জাতিসংঘ শরণার্থী বিষয়ক প্রতিষ্ঠান ইউএনএইচসিআর, বিবিসি (ব্রিটিশ), আকাশবাণী (ভারতীয়), কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় সহায়ক সমিতি, রমেশচন্দ্র ও বিশ্ব শান্তি পরিষদ, অক্সফাম (ব্রিটিশ), আইসিআরসি, আঁদ্রে মারলো (ফরাসি)।

বাংলাদেশ শীর্ষ খবর