স্মার্টফোনে ইন্টারনেট ব্যবহারের পরিমান বাড়ছে। মডেমের মাধ্যমেও মোবাইল ইন্টারনেট সংযোগ অনেকে ল্যাপটপ বা কম্পিউটারেরও ব্যবহার করেন। ব্রডব্যান্ডের মতো অফুরন্ত নয় বলে মোবাইল ফোনের ডেটা একটু হিসেব করেই ব্যবহার করতে হয়।
তাই যারা মোবাইল ফোনে ডেটা কিনে ব্যবহার করেন তারা একটু কৌশলি হলে সাশ্রয়ী উপায়ে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারবেন। এ জন্য কোন অ্যাপে কি ধরনের ডেটা খরচ করছে তা জানা থাকলে বেশ সুবিধা হবে। এ ক্ষেত্রে অধিক ডেটা লাগে এমন অ্যাপ্লিকেশন সব সময় চালু রাখার বিষয়ে সর্তক হবেন সবাই।
আবার চাইলে স্মার্টফোনের সেটিংস থেকেও অ্যাপের জন্য ডেটা ব্যবহারের পরিমান কমিয়ে দেওয়া যায়। এ টিউটোরিয়ালে ডেটা সাশ্রয়ের এমন কিছু দিক তুলে ধরা হলো।
মাই ডেটা ম্যানেজার নামে অ্যান্ড্রয়েড ও আইওএস অপারেটিং সিস্টেমের জন্য একটি অ্যাপ রয়েছে। এটি শুধু ফোনে নয়, মাল্টিপল ডিভাইসেও ওয়াইফাই ও থ্রিজি ব্যবহারের সময় ডেটা খরচের হিসেব রাখতে সাহায্য করবে। ফলে ইন্টারনেটে ডেটা খরচের কোনো তথ্য গোপন থাকবে না।
বড় আকারের সফটওয়্যারগুলোর স্বয়ংক্রিয় আপডেট বন্ধ রাখা উচিত। এ ছাড়া সেটিংস থেকে মোবাইল ইন্টারনেট ডেটায় যেন তা আপডেট না নেয় সেটাই করা যায়। বড় ধরনের অ্যাপের আপডেট বা ডাউনলোডের ক্ষেত্রে ওয়াই-ফাই সংযোগ ব্যবহার করা উচিত।
বর্তমানে ক্লাউড সুবিধা বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। স্মার্টফোনে ছবি তোলা হলে তা স্বয়ংক্রিয়ভাবে আপলোড হয়ে যায় অনলাইনে। এতে ডেটার ব্যবহার হয়। ডেটার পরিমান আনলিমিটেড না হলে গুগল ড্রাইভ, ওয়ানড্রাইভ, ড্রপবক্সের মতো ক্লাউড সুবিধাগুলোর অনলাইন ব্যাকআপ বন্ধ রাখতে হবে। এতে ইন্টারনেট ডেটা খরচ কমবে।