বিনিয়োগকারীদের ক্ষতি পোষাতে রোববারের মধ্যেই সিদ্ধান্ত

বিনিয়োগকারীদের ক্ষতি পোষাতে রোববারের মধ্যেই সিদ্ধান্ত

পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের ক্ষতি কিভাবে পুষিয়ে নেওয়া যায় সে ব্যাপারে রোববারের মধ্যেই সিদ্ধান্ত নেবে এসইসি। ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার জন্য স্বল্প মেয়াদী, মধ্য মেয়াদী এ দীর্ঘ মেয়াদী পরিক্ল্পনা নেওয়া হয়েছে।

বুধবার রাত ১১টা ৫০ মিনিটে গণভবনে দীর্ঘ বৈঠকের পর এসইসির সদস্য আরিফ খান সাংবাদিকদের প্রেস ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন এসইসির চেয়ারম্যান ম. খায়রুল হোসেন।

বৈঠকে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার জন্য অনেকগুলো প্রস্তাব এসেছে। এসব প্রস্তাব পর্যালোচনা করে এসইসি সিদ্ধান্ত নিবে।

একই সঙ্গে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো তাদের বিনিয়োগ বাড়াতে ঐক্যমত পোষণ করেছে। এছাড়া মার্জিন লোনের সুদ মওকুফ, কালো টাকা আগের মতোই পূঁজিবাজারে বিনিয়োগ করার আলোচনা হয়েছে।

বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী পূঁজিবাজারের বর্তমান সঙ্কট নিরসনে সংশ্লিষ্টদের তাগিদ দিয়েছেন বলে জানা গেছে।

পুঁজিবাজারের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে বুধবার রাতে গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডাকা জরুরি এ সভা রাত ১১টা ২২ মিনিটে শেষ হয়। এর আগে প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে সন্ধ্যা ৭টায় সভা শুরু হয়।

বৈঠকে অন্যদের মধ্যে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত, এলজিআরডিমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রীর জনপ্রশাসন বিষয়ক উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম, সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (এসইসি) চেয়ারম্যান এম. খায়রুল হোসেন, সদস্য আরিফ খান, আমজাদ হোসেন, সালাম শিকদার, হেলাল উদ্দীন নেজামী, ডিএসই প্রেসিডেন্ট শাকিল রিজভী, আইসিবির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফাইকুজ্জামান, সিএসই প্রেসিডেন্ট ফখরুদ্দীন আলী আহমেদ, এবিবি প্রেসিডেন্ট সাত্তার কে মাহমুদ, বিএবি প্রেসিডেন্ট নজরুল ইসলাম মজুমদার, বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর নজরুল হুদা,অর্থসচিব ড. তারেক, বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শেখ কবির হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

তবে এ বৈঠকে পাবলিকলি লিস্টেড কোম্পানি অ্যাসোসিয়েশনের (ইউপিএলসি) সভাপতি সালমান এফ রহমান, অর্থ মন্ত্রণনালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি লোটাস কামাল ও প্রধানমন্ত্রীর অর্থ বিষয়ক উপদেষ্টা মশিউর রহমান উপস্থিত ছিলেন না।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এসইসির চেয়ারম্যান ম. খায়রুল হোসেন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করলে বুধবার সন্ধ্যায় পুঁজিবাজার নিয়ে তার বসার সিদ্ধান্ত জানান।

এর আগে পুঁজিবাজারের স্থিতিশীলতা আনতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর), বাংলাদেশ ব্যাংক, বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকস (বিএবি) বিশেষ প্রণোদনা ও প্যাকেজ ঘোষণা করে ঈদের আগে। এতো সবের পরও ঈদের পর বাজারের বেহাল দশা কাটেনি।

তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, গত ১০/১২ দিনের ব্যবধানে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের মূল্য সূচক প্রায় এক হাজার পয়েন্ট কমেছে।

তবে প্রধানমন্ত্রীর জরুরি সভা ডাকার ঘোষণা বাজারে আসায় বুধবার বাজারে ফিরে আসে চাঙাভাব। এদিন সূচক বাড়ে ৩৩৮ পয়েন্টেরও বেশি।

বাংলাদেশ