কুকুরের কামড়ে ধরাশায়ী অস্ট্রেলীয় ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’

কুকুরের কামড়ে ধরাশায়ী অস্ট্রেলীয় ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’

দীর্ঘ সাত বছর পুলিশের চোখকে ফাঁকি দেওয়ার পর অস্ট্রেলিয়ার ‘মোস্ট ওয়ানটেড’ হিসেবে ঘোষিত ব্যক্তি অবশেষে ধরা পড়েছেন। মোস্ট ওয়ান্টেড ঘোষিত হওয়ার সাত বছর পর গত বুধবার অস্ট্রেলীয় পুলিশের হাতে ধরা পড়েন ম্যালকম নাডেন নামের এই ব্যক্তি।

৩৮ বছর বয়সী সাবেক এই কসাইখানা কর্মীকে বুধবার দিবাগত মধ্যরাতে নিউ সাউথ ওয়েলসের এক গোপন আস্তানা থেকে আটক করা হয়। তাকে আটক করার অভিযানে ডগ স্কোয়াড সহ ২০জন পুলিশ অফিসারের একটি বিশেষ দল অংশ নেয়।

এক নারী হত্যার দায়ে তাকে এতদিন ধরে হন্যে হয়ে খুঁজছিলো অস্ট্রেলিয়ার পুলিশ। তবে তাকে আসলে ধরাশায়ী করে পুলিশের বিশেষ প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত কুকুর।

এর আগেও অবশ্য ধুরন্ধর এই অপরাধীকে ধরবার পুলিশের বেশ কয়েকটি চেষ্টা ব্যর্থ হয়। সর্বশেষ গত বছরের ডিসেম্বরে অল্পের জন্য পুলিশের হাত ফসকে বেরিয়ে যায় সে। নয়েনডক নামের গ্রামের পাশে অবস্থিত তার একটি আস্তানায় সে সময় হানা দিয়েছিলো পুলিশ। কিন্তু পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে পালাতে সক্ষম হয় সে।

তাকে ধরতে এক লাখ অস্ট্রেলীয় ডলার পুরস্কার ঘোষণা করে অস্ট্রেলীয় কর্তৃপক্ষ। উনবিংশ শতাব্দীর কুখ্যাত আউট-ল নেড কেলির পর আর কারো মাথার জন্য এত বেশি অর্থ ধার্য করেনি অস্ট্রেলীয় কর্তৃপক্ষ।

২০০৫ সালে ২৪ বছর বয়সী নারী ক্রিস্টি স্কোলসকে হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে তার বিরুদ্ধে। ২০০৪ সালে ১৫ বছর বয়সী এক মেয়ের ওপর হামলা চালানোর অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এর পাশাপাশি গত ডিসেম্বরে তাকে ধরতে পরিচালিত অভিযানের সময় পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালানোর অভিযোগও আনা হয়েছে তার বিরুদ্ধে।

বুধবারের অভিযানের সময় নাদেন সশস্ত্র ছিলো তবে এ সময় পুলিশের কুকুর তাকে কামড়ে দিলে সে আর নিস্তার পায়নি। পুলিশ তাকে আটক করে প্রথমে হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর পুলিশ তাকে হাজতে প্রেরণ করে বলে জানিয়েছে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম।

আন্তর্জাতিক