এ বছর দাদাসাহেব ফালকে পুরষ্কার পাচ্ছেন পশ্চিমবঙ্গের প্রখ্যাত অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। এটি ভারতীয় চলচ্চিত্রে সর্বোচ্চ সরকারি সম্মান।
ভারতীয় ও অন্যান্য সংবাদমাধ্যমগুলো এ খবর নিশ্চিত করেছে।
পুরষ্কার পাওয়ার পর সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় বলেন, “আনন্দ হচ্ছে। মৃণাল সেন ফোন করে সংবাদটি জানিয়েছেন। প্রথমেই পরিবারের সদস্য ও মানিকদার (সত্যজিৎ রায়) মুখ মনে পড়ছে।”
সত্যজিৎ রায়ের অপুর সংসার (১৯৫৯) দিয়েই চলচ্চিত্রে যাত্রা সৌমিত্রর। তারপর সত্যজিতের আরো ১৪টি কাহিনীচিত্রে অভিনয় করে নিজেকে অন্য এক উচ্চতায় নিয়ে যান ৭৭ বছরের এই অভিনেতা। কাজ করেছেন মৃণাল সেন, তপন সিনহা, তপন মজুমদার, গৌতম ঘোষ, অপর্না সেন, ঋতুপর্ণ ঘোষদের সঙ্গে।
চলচ্চিত্রের পাশাপাশি মঞ্চেও অভিনয় এবং নির্দেশনায় দাপট দেখিয়েছেন এই ‘রাজা লিয়ার’। শুধু অভিনয় জীবন নয়; আবৃত্তি, অনুবাদ, কবিতা, সাহিত্য সমালোচনায় সমান উজ্জ্বল শিল্পের প্রতি দায়বদ্ধ এই শিল্পী। ‘এক্ষণ’ সাহিত্য পত্রিকা নিয়মিত বের হচ্ছে কলকাতা থেকে তার সম্পাদনায়।
মৃণাল সেন অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, দেরিতে হলেও সৌমিত্র পুরষ্কার পেয়েছে তাই খুব খুশি লাগছে। ‘অপুর সংসার’ দিয়ে শুরু করেছিলো। আজও সে সেই প্রত্যয়ে অবিচল।
এর আগে ২০০৪ সালে পদ্মভূষণ পেয়েছিলেন সৌমিত্র। নজরকাড়া অভিনয় জীবনের জন্য ফ্রান্স ও ইতালি থেকে পেয়েছেন বিশেষ সম্মান।
সৌমিত্র চট্টোপধ্যায়ের জন্ম ১৯৩৫ সালের ১৯ জানুয়ারি পশ্চিবঙ্গের কৃষ্ণনগরে। আকাশবাণী দিয়ে কর্মজীবনের শুরু। অভিনয় করেছেন ৬০টির অধিক চলচ্চিত্রে।
দাদাসাহেব ফালকে পুরষ্কার চালু হয় ১৯৬৯ সাল থেকে। ২০০৭ সালে গায়ক মান্না দে ছিলেন এ পুরষ্কারে ভূষিত সর্বশেষ বাঙালি।