চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে ব্যঙ্গাত্মক সাময়িকী শার্লি হেবদো হামলা চালায় সন্ত্রাসীরা।
বেশ কয়েকজন কার্টুনিস্টকে তারা হত্যা করে।
ওই পত্রিকাটিতে ইসলামের নবী মোহাম্মদের ব্যঙ্গাত্মক কার্টুন প্রকাশিত হয়েছিল।
একই সময়ে একটি ইহুদী সুপারমার্কেটে চালানো হামলায় নিহত হয় সতেরো জন।
এ ঘটনার পর শহরটিতে সতর্কতা বাড়ানো হয়, কিন্তু তার মধ্যেও শুক্রবার শহরটিতে ঘটে গেল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী নৃশংসতা হত্যাযজ্ঞ।
প্রতিটি হামলার সাথে ইসলামী চরমপন্থিরা জড়িত বলে অভিযোগ।
বহু বছর ধরেই প্যারিস-সহ ফ্রান্সের অন্যান্য শহরগুলোর কিছু কিছু এলাকা ইসলামী চরমপন্থিদের উর্বর ক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে।
বঞ্চনা ও বেকারত্বের শিকার হওয়া তরুণ মুসলমানদের জন্য এসব এলাকায় জিহাদ এক নতুন সম্মোহন হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে।
এখন পর্যন্ত ৫০০ জন ফরাসী ইরাক ও সিরিয়ায় জিহাদিদের সাথে যোগ দেবার জন্য পাড়ি জমিয়েছে।
বিশ্লেষকদের মতে পশ্চিমা দেশগুলো থেকে মধ্যপ্রাচ্যে জিহাদে যোগ দিতে যাওয়া মানুষের মধ্যে ফ্রান্সের নাগরিকই সবচাইতে বেশী।
ওদিকে সিরিয়া ও ইরাকে আইএস যোদ্ধাদের বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে ফরাসী যুদ্ধবিমানগুলোর বোমাবর্ষণও অব্যহতভাবে চলছে।
ফলে ফ্রান্সের প্রতি ইসলামী চরমপন্থিদের বিদ্বেষ একটু বেশীই থাকবার কথা।
সূত্র: বিবিসি