প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সাইবার অপরাধ বন্ধ করতে এবং সন্ত্রাসী ও জঙ্গিদের ধরতে প্রয়োজন হলে ভাইবার এবং হোয়াটসঅ্যাপের মত মোবাইল ফোন অ্যাপসগুলো সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেয়া হবে। ভাইবার বা হোয়াটসঅ্যাপ বন্ধ করা হলেই কি এ ধরনের অপরাধ তৎপরতা কমানো যাবে?
বাংলাদেশের একজন নিরাপত্তা বিশ্লেষক ও অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাখাওয়াত হোসেনকে এই প্রশ্ন করা হলে বিবিসি বাংলার শায়লা রুখসানাকে তিনি বলেছেন, অনেক সময় এসব মাধ্যমে আন্তর্জাতিক যোগাযোগ হয়ে থাকে
কিন্তু এগুলো বন্ধ করলেই যে জঙ্গিবাদ বন্ধ হয়ে যাবে বা টেরররিজম বন্ধ হয়ে যাবে তেমন নজির কিন্তু নেই।
তিনি বলেন, “অনেক দেশেই এগুলো বন্ধ করা হয়েছে। উদাহরণ হিসেবে পাকিস্তানের কথা যদি বলি, পাকিস্তানে ফেসবুক থেকে শুরু করে সবকিছুই সাসপেন্ডেড আছে। কিন্তু সেখানে কিন্তু এগুলো বন্ধ করা যায়নি। যারা এ ধরনের কর্মকাণ্ডে লিপ্ত তারা কিন্তু বিভিন্ন ধরনের মাধ্যমে যোগাযোগ করে থাকে”।
এছাড়া বিষয়টি দেশের বাইরে নেতিবাচক একটি বার্তা দিতে পারে বলেও তিনি মনে করেন।
সাবেক নির্বাচন কমিশনার সাখাওয়াত হোসেন বলেন, “এ পর্যন্ত আমরা বলেছি যে, আমাদের দেশে জঙ্গি তৎপরতা নেই। কিন্তু এখন ভাইবার বা হোয়াটস অ্যপ বন্ধ করা হলে এমন সংকেত যেতে পারে যে, উচ্চ প্রযুক্তি সম্পন্ন সংগঠন বাংলাদেশে কাজ করছে”।
এগুলো বন্ধ করা হলে সামাজিক যোগাযোগে সাধারণ মানুষের ওপর প্রভাব ফেলবে। কিন্তু যারা মোটিভেটেড হয়ে বিভিন্ন অপরাধ করছে তারা অন্য কোনও উপায় খুঁজে নেবে।
আর বাংলাদেশে যেসব ঘটনা বা হত্যাকাণ্ড ঘটছে তা যে সবসময় প্রযুক্তি ব্যবহার করেই ঘটছে তেমনটা মনে করেন না এই নিরাপত্তা বিশ্লেষক। তিনি বলেন, অনেকসময় সাংকেতিক ভাবে বা পত্র মারফত যোগাযোগ রাখছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
এই ধরনের অপরাধীদের মোকাবেলায় বাংলাদেশের আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে প্রযুক্তি বা দক্ষতা কতটা আছে জানতে চাইলে ‘সেটা খুবই অপ্রতুল’ বলে জানান সাখাওয়াত হোসেন। তিনি বলেন, যেভাবে ঘটনাগুলো ঘটছে তার প্রেক্ষিতে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা মোটেই প্রস্তুত নন। তাদের তেমন প্রশিক্ষণও নেই।- বিবিসি