রাশিয়ার খেলোয়াড়দের বিরুদ্ধে ব্যাপকভিত্তিক ডোপিংয়ের অভিযোগ উঠবার পর দেশটির মাদকবিরোধী পরীক্ষাগারের প্রধান গ্রিগোরি রচেনকভ পদত্যাগ করেছেন। অথচ একদিন আগেই তিনি বলেছিলেন, রাশিয়ার বিরুদ্ধে আনা এসব অভিযোগের সংকলন করেছে একদল ‘বেকুব’।
ওয়ার্ল্ড অ্যান্টি ডোপিং এজেন্সি বা ওয়াডা যে অভিযোগ করছে, তাতে দেখা যাচ্ছে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় রুশ খেলোয়াড়রা মাদক গ্রহণ করে যে প্রতারণা করেছে, তাতে রাষ্ট্রের মদত ছিল।
প্রথম থেকেই এটাকে পশ্চিমাদের স্বভাবসুলভ অপপ্রচার বলে চালিয়ে এলেও এখন সুর নরম হতে দেখা যাচ্ছে দেশটির কর্মকর্তাদের।
ক্রীড়ামন্ত্রী ভিতালি মাতকো মাদকের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নিজেদের সর্বস্ব দিয়ে লড়াইয়ের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন। কৃতকর্মের দায় স্বীকার করে নিয়ে গ্রিগোরি রচেনকভ যে পদত্যাগ করেছেন সেই খবরও তিনিই দিচ্ছেন।
মস্কোতে মিস্টার রচেনকভ যে পরীক্ষাগারটি চালাতেন সেটিও বন্ধ করে দেয়া হয়েছে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে। অবশ্য রাশিয়ার বিরুদ্ধে ওঠা এই অভিযোগকে এখনও রাজনৈতিক বলেই মনে করেন দেশটির অনেক কর্মকর্তা।
রুশ মাদকবিরোধী সংস্থার প্রধান নিকিতা কামায়েভ বলছেন, ‘তাদের কিছু উপসংহার দেখে অতিরঞ্জিত এবং রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত বলে মনে হয়েছে। আমরা ওয়ার্ল্ড অ্যান্টি ডোপিং এজেন্সি বা ওয়াডার সাথে এ ব্যাপারে যোগাযোগ চালিয়েছে যাচ্ছি, তাদের ব্যাখ্যা দিচ্ছি, জবাব দিচ্ছি এবং আমাদের অবস্থান তাদের কাছে স্পষ্ট করছি।’
অবশ্য এসব বলে যে পার পাওয়া যাচ্ছে না তা স্পষ্টতই বোঝা যাচ্ছে দেশটির নেতাদের দৌড়ঝাঁপ দেখে। রাশিয়ার সব কর্মকর্তাই এখন এই এক ইস্যুতেই ব্যস্ত।
এমনকি প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন পর্যন্ত সোচিতে আজ একটি স্পোর্টস ফেডারেশনের নেতাদের সাথে আজ একটি জরুরী বৈঠক করবেন বলে খবরে জানা যাচ্ছে।
কারণ বাহাত্তর ঘণ্টার মধ্যে রাশিয়া উপযুক্ত কোনও জবাব নিয়ে হাজির না হতে পারে তাহলে দেশটিকে খুবই কঠোর বাস্তবতার সম্মুখীন হতে হবে, এমনকি আসতে পারে আগামী বছর রিওতে অনুষ্ঠিতব্য অলিম্পিক্সে অংশগ্রহণের উপরেও নিষেধাজ্ঞা। সূত্র : বিবিসি বাংলা