ইসলামিক স্টেট (আইএস) আফগানিস্তানে শিয়া মুসলমান সম্প্রদায় হাজারা’র ৭ জনকে শিরশ্ছেদের পর হাজার হাজার বিক্ষোভকারী আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে জড়ো হয়ে আন্দোলন শুরু করেন।
আন্দোলনকারীদের মধ্যে নারী এবং শিশুসহ আফগানিস্তানের পোশতুন, তাজিক, হাজারা এবং উজবেকসহ আরও অনেক সম্প্রদায়ের লোকজন উপস্থিত ছিলেন। তারা নিহত সাতজনের মৃতদেহ সাথে করে নিয়ে প্রেসিডেন্টের বাসভবনের দিকে যাত্রা করেন। এসময় তারা নিহত ব্যক্তিদের জন্য সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন এবং আফগানিস্তানের সাধারণ জনগণের উপরে সন্ত্রাসী হামলা বন্ধের জন্য সরকারের শক্ত পদক্ষেপ দাবি করেন।
আফগান কর্তৃপক্ষের মতে, শিরশ্ছেদেকৃত হাজারাদেরকে প্রায় মাসখানেক আগে গজনী এলাকা থেকে বন্দি করে আইএসআইএল জঙ্গিরা এবং আরঘানাদাব জেলার জাবুলে তাদেরকে আটকে রাখেন।
নিহত ৭ জন হাজারার ভেতরে ৩ জন নারী, ২ জন শিশু এবং ২ জন পুরুষ ছিলেন। তাদেরকে ধারালো তার দিয়ে পেঁচিয়ে শিরশ্ছেদে করা হয়। তালিবানরা তাদের মৃতদেহ খুঁজে পাওয়ার পর গত শনিবার তাদেরকে হস্তান্তর করেন।
আফগানিস্তানের মানবাধিকার কর্মী শাহজামান হাশেমি সংবাদ মাধ্যমকে বলেছেন, আমাদের পরবারের নিরাপত্তার জন্য আমরা যুদ্ধ করে যাবো, কারণ নিহত নারী এবং শিশুদের ক্ষেত্রে যা ঘটেছে সেটা আমাদের যে কারো ক্ষেত্রে হতে পারতো।
এ উপলক্ষে আফগানিস্তান সরকার আজ বুধবার জাতীয় শোক দিবস ঘোষণা করেছেন।
মরিয়ম জামাল নামের এক বিক্ষোভকারী বলেছেন, যে অবস্থা শুরু হয়েছে তাতে সরকারকে কঠোর চাপ দেয়া প্রয়োজন কারন সন্ত্রাসীরা এখন নারী এবং শিশু হত্যা শুরু করেছে। এ অবস্থা চলতে দেয়া যায় না। কাল হয়তো দেখা যাবে আমার পরিবারের কাউকে তারা মারবে।
কাবুল পুলিশপ্রধান আব্দুল রহমান রাহিমি সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, অনেক দূর-দুরান্ত থেকে মানুষ এখানে এসেছেন। আমরা আন্দোলন পার্শ্ববর্তী এলাকায় নিরাপত্তা বাড়িয়েছি যাতে কেউ আহত না হন।