প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আন্তর্জাতিক নদীগুলোতে আমাদের ন্যায্য অধিকার আদায় করা হবে। আর এ লক্ষ্যে ইতোমধ্যে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
মিয়ানমারের কাছ থেকে আমাদের ন্যায্য হিস্যা আমরা বুঝে পেয়েছি। ২০১৪ সালে আওয়ামী লীগকে ভোট দিলে ভারতের সঙ্গেও আমাদের বিজয় হবে।
বুধবার বেলা ১১টায় নবনির্মিত বরিশাল আধুনিক নৌ-বন্দর উদ্বোধন এবং দেশের তৃতীয় মেরিন একাডেমির ভিত্তিপ্রস্তর, ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্টের ভিত্তিপ্রস্তর ও বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন শেষে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি আরও বলেন, নদীর অভিন্ন পথ ও নাব্যতা রক্ষায় পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর সঙ্গে আলোচনা করা হচ্ছে।
বরিশাল আধুনিক নৌ-বন্দর চত্বরে আয়োজিত উদ্বোধনী ও ভিত্তিপ্রস্তর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘ধান, নদী ও খাল, এই তিনে বরিশাল। এটাই বরিশালের ঐতিহ্য। তবে বরিশালের এই ঐতিহ্য আজ বলুপ্তির পথে। আমরা বরিশালের এই ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছি।’
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘বরিশাল বরাবরই অবহেলিত ছিলো। কিন্তু ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে বরিশালের উন্নয়ন শুরু হয়েছে। যা এখনও অব্যাহত রয়েছে।’
বরিশাল নৌ-বন্দরের কথা উল্লেখ করে তিনি জানান, দক্ষিণাঞ্চলের প্রবেশদ্বার হিসেবে পরিচিত ব্যস্ততম বরিশালের এই লঞ্চঘাটে যাত্রীদের সেবার মান বাড়াতে দ্বিতলা টার্মিনাল ভবন নির্মাণ করা হয়েছে।
নৌ পরিবহন মন্ত্রীর শাজাহান খানের সভাপতিত্বে প্রধানমন্ত্রী জানান, বাংলাদেশের জীবন নদী। এই নদী যাতে ভরাট না হয় সেজন্য আইন করা হয়েছে। নদীর নাব্যতা ফিরিয়ে আনতে ড্রেজিং করা হচ্ছে। সরকারি ও বেসকারিভাবে ১৯টি ড্রেজার ক্রয় করা হয়েছে।
দেশের অর্থনীতি দ্রুত বিকাশ ঘটছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে ক্ষতির সম্মুখিন হবে দক্ষিণাঞ্চল। তাই দক্ষিণাঞ্চলে উন্নয়নে ব্যাপক প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, যানজট হ্রাস, পরিবেশ দুষণ রোধ ও পর্যটন শিল্পের বিকাশে ঢাকার চারপাশের ১১০ কিলোমিটার নৌ-পথ চলাচল উপযোগী কারার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
লঞ্চ চালক ও মালিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা ধারণ ক্ষমতার বেশি যাত্রী পরিববহন করবেন না। এতে শত শত মানুষের জীবন রক্ষা পাবে।’
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, স্থানীয় সরকার মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, সাবেক চিফ হুইপ আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ, বরিশাল সিটি মেয়র শওকত হোসেন হিরন, নৌ পরিবহন মন্ত্রনালয়ের সচিব আব্দুল মান্নান হাওলাদার, মেরিন একাডেমির কমান্ডার ড. সাজিদ হোসেন ও বিআইডব্লিউটি এর চেয়ারম্যান শামসুদ্দোহা খন্দকার।
এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, কৃষি মন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, আওয়ামী লীগ নেতা ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহম্মেদ, স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক, পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী মাহবুবুর রহমান, ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শাহজাহান মিয়া, হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী, আসম ফিরোজ, রাশেদ খান মেনন, হাসানুল হক ইনু প্রমুখ।