মিয়ানমারের ঐতিহাসিক নির্বাচনে অং সান সুচির দলের বিজয়ে তাকে উষ্ণ অভিনন্দন জানিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এক বার্তায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, মিয়ানমারের জনগণ একটি প্রকৃত পরিবর্তনের সপক্ষে তাদের বলিষ্ঠ রায় ঘোষণা করেছে, যে পরিবর্তনের জন্য তারা দীর্ঘকাল ধরে অপেক্ষা করছিল।
শেখ হাসিনা আরও বলেন, নির্বাচনে জনগণের রায় একটি সত্যিকার গণতন্ত্রে প্রত্যাবর্তনের পথে যাত্রা বলে মনে হচ্ছে।
দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় শান্তি, স্থিতিশীলতা ও অগ্রগতির পরিবেশ সৃষ্টিতে বাংলাদেশ মিয়ানমারের সঙ্গে অংশীদার হতে ইচ্ছুক বলেও প্রধানমন্ত্রী মন্তব্য করেন।
নির্বাচনের পূর্ণ ফলাফল এখনো ঘোষণা করা হয়নি, তবে মনে করা হচ্ছে অং সান সুচির দল ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্রেসি বিপুলভাবে বিজয়ী হবে।
এরই মধ্যে ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে, এমন আসনের বেশিরভাগই পেয়েছে বিরোধী এই দলটি।
দলের পক্ষে বলা হয়েছে, তাদের বড় জয় হবে বলে তারা আশাবাদী।
সংসদে একটি কার্যকর সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে এনএলডি’কে দুই-তৃতীয়াংশ ভোট পেতে হবে, কারণ পার্লামেন্টের পঁচিশ শতাংশ আসন সেনাবাহিনীর জন্য সংরক্ষিত।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের দপ্তর হোয়াইট হাউজের মুখপাত্র জস আর্নেস্ট বলেছেন, একটি সত্যিকার গণতন্ত্র পেতে মিয়ানমারকে আরও অনেক কাজ করতে হবে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এক সময় বার্মা নামে পরিচিত এই দেশটির নির্বাচন তার অন্যতম প্রতিবেশী বাংলাদেশের জন্যও বিশেষ বার্তা বহন করে।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. তারেক শামসুর রহমান বিবিসিকে বলেন, একটি গণতন্ত্রে জনগণই যে সকল ক্ষমতার উৎস, তা আবার প্রমাণিত হলো এবং এটি বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
তিনি বলেন, দ্বিতীয়ত সরকার পরিবর্তনের একমাত্র পথ যে নির্বাচন, বার্মা সেই পথে এগুচ্ছে এবং বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এর একটি ‘সিগনিফিকেন্স’ আছে।
আর তৃতীয়ত, প্রেসিডেন্ট হতে পারবেন না জেনেও মিজ সুচি সেনাবাহিনীর সাথে কাজ করছেন, যার একটি গুরুত্ব রয়েছে।
তিনি বলেন, আমাদের যে সাংবিধানিক শক্তিগুলো রয়েছে, বার্মার এই নির্বাচন তাদের উৎসাহিত করবে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য।– বিবিসি