মাদক বিক্রি কিংবা চোরাচালানের দায়ে মৃত্যুদণ্ডের সাজা পাওয়া কয়েদিদের জন্য একটি গোটা দ্বীপকে কারাগার বানানোর চিন্তাভাবনা করছে ইন্দোনেশিয়া। আর হিংস্র জলজ প্রাণী কুমির দিয়ে সেখানে পাহারা দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন দেশটির মাদক বিরোধী সংস্থার প্রধান বুদি ওয়াসেসো।
আজ মঙ্গলবার বিবিসি বাংলার অনলাইন সংস্করণের একটি খবরে এ তথ্য জানানো হয়েছে। নিজের প্রস্তাবের ব্যাপারে ওয়াসেসো বলেন, অনেক সময় কুমির মানুষের চেয়ে ভালোভাবে পাহারা দিতে পারে, কারণ এদেরকে ঘুষ দেওয়া যায় না।
তিনি আরও বলেন, কারাগারটি পাহারা দিতে সবচেয়ে হিংস্র কুমির খুঁজে বের করা হবে। এ জন্য দ্বীপ-রাষ্ট্রটির বিভিন্ন এলাকা সফর করবেন তিনি।
পৃথিবীর যেসব দেশে খুব কঠোর মাদক বিরোধী আইন রয়েছে, ইন্দোনেশিয়া তার মধ্যে একটি। দেশটিতে মাদক সংক্রান্ত মামলায় চার বছর ধরে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা বন্ধ থাকার পর ২০১৩ সালে এই বিধি-নিষেধ প্রত্যাহার করা হয়।
ওয়াসেসো ইন্দোনেশিয়ার একটি স্থানীয় ওয়েবসাইটকে বলেন, একটি দ্বীপ-কারাগার বানানোর পর আমরা যত বেশি সম্ভব কুমির সেখানে রাখব। ‘আপনি কুমিরকে ঘুষ দিতে পারবেন না। আপনি বন্দীদের পালাতে দিতে এদের বলতে পারবেন না।’
দ্বীপ-কারাগার বানানোর পরিকল্পনাটি অবশ্য এখনো খুবই প্রাথমিক অবস্থায় আছে। এ ছাড়া কারাগারটি কোথায় হবে এবং কবে সেটি খুলে দেওয়া হতে পারে, তা এখনো ঠিক করা হয়নি।