মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত হওয়া ইলিনয় অঙ্গরাজ্যের রিপাবলিকান প্রাইমারিতে জয়লাভ করেছেন মিট রমনি। এই জয়ের মাধ্যমে আগামী নভেম্বরে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বারাক ওবামার প্রতিদ্বন্দ্বী হওয়ার পথে অন্যদের পেছনে ফেলে আরো এক ধাপ এগিয়ে গেলেন তিনি।
ইতোমধ্যে প্রায় সব ভোট গণনা শেষে দেখা যাচ্ছে, রমনি লাভ করেছেন মোট ভোটের প্রায় ৪৭ শতাংশ। মনোয়ন লাভের পথে তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী রিক স্যান্টোরাম পেয়েছেন ৩৫ শতাংশ ভোট।
রক্ষণশীল রিপাবলিকানদের ভিড়ে অপেক্ষাকৃত উদার বলে বিবেচিত প্রার্থী রন পল এ রাজ্যেও ভালো করতে পারেননি। তিনি পেয়েছেন মাত্র ৯ শতাংশ ভোট। এদিকে বিতর্কিত মন্তব্য করে ‘খ্যাতি’ পাওয়া রিপাবলিকানদের মধ্যে রক্ষণশীল ঘরানার বলে অভিহিত নিউট গিংগ্রিচ পেয়েছেন মাত্র ৮ শতাংশ ভোট। তবে শেষ দু’জন অবশ্য নিজেদের অবস্থান আন্দাজ করতে পেরে ইলিনয়ে ব্যাপকভিত্তিক কোনো প্রচারণায় অংশ নেননি।
প্রেসিডেন্ট প্রার্থী চূড়ান্ত করার জন্য আগস্টে অনুষ্ঠেয় রিপাবলিকান কনভেনশনে ইলিনয় থেকে ৫৪ জন প্রতিনিধি যাবে। এই রাজ্যের প্রাইমারিতে জয়লাভের মাধ্যমে মিট রমনি এখন এই প্রতিনিধিদের সমর্থন লাভের ব্যাপারে অনেকটাই আশাবাদী।
এদিকে ইলিনয় প্রাইমারির আগে নির্বাচনী মাঠ মূলত গরম হয় বেকারত্বসহ অন্যান্য অর্থনৈতিক ইস্যুকে কেন্দ্র করে।
বেকারত্ব ইস্যুতে বেফাঁস কথা বলে সোমবার অনেকটা বেকায়দাতেই পড়েছিলেন স্যানটোরাম। ইলিনয়ে এক বক্তৃতায় সমর্থকদের সামনে তিনি বলে বসেন, বেকারত্বকে থোড়াই কেয়ার করেন তিনি।
তক্কে তক্কে থাকা রমনিও সঙ্গে সঙ্গে স্যান্টোরামের এই উক্তিকে লুফে নেন। এর একদিন পরই একটি ছাত্র সমাবেশে বক্তৃতা দিতে গিয়ে তিনি স্যান্টোরামের আগের দিনের করা মন্তব্যকে টেনে এনে বলেন, ‘আমাদের মধ্যে একজন, যিনি মনোয়ন প্রার্থীও বটে, বলেছেন বেকারত্বের হার নিয়ে তার কোনো মাথাব্যথা নেই।’
এরপরই তিনি তার অবস্থান ব্যক্ত করেন, ‘কিন্তু আমার মাথাব্যথা আছে, আমি চাই মানুষ কাজ ফিরে পাক।’
রমনির আক্রমণের ধাক্কা সামলাতে অবশেষে স্যান্টোরামকে সমর্থকদের সামনে বলতে হয়, ‘অর্থনীতি একটি বড় ইস্যু, বেকারত্ব একটি বড় ইস্যু।’