সরকারের কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর জানিয়েছে, পোশাক কারখানা ভবনগুলোর ৮০% নিরাপদ। প্রায় দুই বছর ধরে বাংলাদেশের পোশাক খাতের কারখানাগুলোর কর্ম-পরিবেশ নিয়ে সরকার, আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা এবং ক্রেতাদের জোট অ্যাকর্ড ও অ্যালায়েন্সের চালানো পরিদর্শন শেষ হচ্ছে সোমবার। কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক সাঈদ আহমেদ বলেন, ত্রিপক্ষীয় নিরীক্ষায় চার ধরনের মানদণ্ড ঠিক করে কারখানাগুলোতে পরিদর্শন চালানো হয়। এতে দেখা গেছে, পরিদর্শন হওয়া কারখানাগুলোর ভবন ও অগ্নি নিরাপত্তা ব্যবস্থা শতকরা প্রায় ৮০% নিরাপদ। এর বাইরে বিপজ্জনক হওয়ায় ৬টি কারখানা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। নিরীক্ষা দল চারটি রং এ ভাগ করে এ পরিদর্শন চালায়। সবুজ ও হলুদ রং এর মানদণ্ডকে সম্পূর্ণ নিরাপদ এবং অল্প সংস্কার প্রয়োজন এমন ধরা হয়েছে। এছাড়া এ্যাম্বার বা পীত রং এর প্রতীক দিয়ে বোঝা যাবে, তার ব্যপক সংস্কার দরকার, আর লাল রং দিয়ে বোঝা যাবে ঐ কারখানা বিপজ্জনক।
রানা প্লাজায় ধস ও তারও আগে তাজরীন গার্মেন্টসে অগ্নিকাণ্ডে শত শত পোশাকশ্রমিক নিহত হবার প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের সরকার, আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা বা আইএলও এবং বিদেশি ক্রেতাদের দুটি জোট অ্যাকর্ড ও অ্যালায়েন্স দেশটির সাড়ে তিন হাজার পোশাক কারখানাকে ভাগ করে নিয়ে এই পরিদর্শন শুরু করে।
আজই বাংলাদেশের সরকারের ভাগের পনেরো শত কারখানার পরিদর্শন প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে। এর আগে আইএলও, অ্যাকর্ড ও অ্যালায়েন্সও তাদের অংশের কারখানাগুলোর পরিদর্শন শেষ করেছে বলে জানা যাচ্ছে।
কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর নিজেদের ভাগের কারখানাগুলো পরিদর্শনের পাশাপাশি অন্য সংস্থাগুলোর পরিদর্শনের পর তা রিভিউ করেছে।
এছাড়া কোন কোন ক্ষেত্রে যেসব কারখানা বন্ধ করার সুপারিশ করা হয়েছে সেগুলোও পুনর্বিবেচনা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সাঈদ আহমেদ। সূত্র : বিবিসি বাংলা