সফরকারি জিম্বাবুয়েকে ৫৮ রানে হারিয়ে ২-০ তে ওয়ানডে সিরিজ নিশ্চিত করলো বাংলাদেশ। এর আগে প্রথম ওয়ানডেতে দাপুটে জয় পেয়েছে স্বাগতিকরা। আজ দ্বিতীয় ওয়ানডেতে টেনেটুনে রান করে সফররত জিম্বাবুয়েকে ২৪২ রানের টার্গেট দিয়েছে স্বাগতিক বাংলাদেশ। ৩ ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে নির্ধারিত ৫০ ওভার শেষে বাংলাদেশ ৯ উইকেট হারিয়ে তুলেছে ২৪১ রান। আজ সোমবার হোম অব ক্রিকেট মিরপুরে টস নামক ভাগ্য পরীক্ষায় জয়লাভ করেন জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক এল্টন চিগাম্বুরা।
এদিকে ভালো বল করলেও উইকেট পাচ্ছিলেন না আল আমিন। তারপর আল আমিনের জোড়া আঘাতে ম্যাচে ফিরে টাইগাররা। রাজাকে ৩৩ রানে ও চিগুম্বরাকে ৪৭ রানে ফিরিয়ে দিয়ে জোড়া আঘাত হানেন জিম্বাবুয়ে শিবিরে। ক্রমেই ভয়ংকর হয়ে ওঠা জুটি রাজা ও চিগুম্বরার ৭২ রান যোগ করার পর বিচ্ছিন্ন হয়। নিজের পরপর দুই ওভারে আউট করেন সিকান্দার রাজা ও জিম্বাবুয়ের অধিনায় এল্টন চিগুম্বুরাকে। বাংলাদেশের দেয়া ২৪২ রানের লক্ষ্যে প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত জিম্বাবুয়ের সংগ্রহ ৩৬.২ ওভারে ৬ উইকেটে ১৫৬ রান। দলীয় ২২ রানে ওপেনার চাকাবাকে ফেরান আরাফাত সানি। আর এক রান যোগ হতেই টাইগার ক্যাপ্টেন ফেরান অপর ওপেনার চিবাবাকে।
অপরদিকে আক্রমণাত্বক হয়ে ওঠা ব্যাটসম্যা শন উইলিয়ামসকে তুলে নেন মুস্তাফিজুর রহমান। ব্যক্তিগত ১৭ বলে ১৪ রান করেন তিনি। এরপর ৪৪ বলে ২৬ রান করে লিটন দাসের সরাসরি থ্রোতে রান আউট হন শন আরভিন। অন্যদিকে বাংলাদেশের সামনে টানা ৫ম সিরিজ জয়ের হাতছানি। গত বছর জিম্বাবুয়েকে দিয়ে শুরু। আজ এ ম্যাচ জেতার ফলে শেষটাও হবে জিম্বাবুয়েকে দিয়েই। মাঝে ভারত, পাকিস্তান এবং দক্ষিণ আফ্রিকাকেও নাকানি-চুবানি খাইয়েছে টাইগাররা।
এর আগে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে সফররত জিম্বাবুয়েকে ২৪২ রানের টার্গেট দিয়েছে স্বাগতিক বাংলাদেশ। আজ দলে খেলার সুযোগটা ভালোভাবেই কাজে লাগালেন ইমরুল কায়েস। ক্যারিয়ারের ১১ তম অর্ধশতক তুলে নেন তিনি। সৌম্যের ইনজুরির কারণে দলে জায়গা হলেও প্রথম ওয়ানডেতে মূল একাদশে রাখা হয়নি তাকে। তবে সাকিবের যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার কল্যানে মূল একাদশে ফেরেন ইমরুল। আর ফিরেই দলে অন্তর্ভূক্তির প্রমাণ দিলেন এ ওপেনার।
প্রথম ওয়ানডে জিতে ইতিমধ্যেই সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে রয়েছে মুশফিক-তামিমরা। আজ দলের পক্ষে ইমরুল কায়েস ৭৬, নাসির ৪১, সাব্বির ৩৩, মুশফিক ২১, তামিম ইকবাল ১৯, মাশরাফি ১৩, লিটন দাস ৭ এবং মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ৪ রান করেন। জিম্বাবুয়ের পক্ষে পানিয়াঙ্গারা ৩টি, মুজারাব্বানি ও ক্রেমার ২টি এবং জঙ্গই ও উইলিয়ামস ১টি করে উইকেট লাভ করেন।