প্রিয়দেশ

ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে দেশের বিকাশমান অনলাইন গণমাধ্যমের নিবন্ধন প্রক্রিয়া শুরু করেছে সরকার। অপসাংবাদিকতা রোধে সব অনলাইন গণমাধ্যমকে নিবন্ধনের জন্য আগামী ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় বেঁধে দেয়া হয়েছে। আজ সোমবার এক তথ্যবিবরণীতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, দেশের অনলাইন পত্রিকার প্রকাশকদের পত্রিকা প্রকাশের ক্ষেত্রে সরকারি সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা এবং অপসাংবাদিকতা রোধ করার লক্ষ্যে সরকার অনলাইন পত্রিকা নিবন্ধন কার্যক্রম চালু করেছে। এ লক্ষ্যে নির্ধারিত নিবন্ধন ফরম ও একটি প্রত্যয়নপত্র বা হলফনামা পূরণ করে তথ্য অধিদপ্তরে জমা দিতে হবে।
তথ্যবিবরণীতে বলা হয়, নিবন্ধনের জন্য ফরম ও প্রত্যয়নপত্রের নমুনা সাময়িকভাবে তথ্য অধিদপ্তরের প্রটোকল শাখা থেকে সংগ্রহ করা যাবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়। বিভিন্ন অনলাইন পত্রিকার দাখিল করা তথ্য যাচাই করে তথ্য অধিদপ্তর নিবন্ধন দেবে। তবে আবেদন ফরম এবং প্রত্যয়নপত্রের নমুনা তথ্য অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে পাওয়া যাওয়ার কথা বলা হলেও এ প্রতিবেদন প্রস্তুত করা পর্যন্ত ত পাওয়া যায়নি।
এদিকে তথ্য মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা জানান, বর্তমানে ১৩৮টি অনলাইন পত্রিকাকে এক্রিডিটেশন কার্ড দেয়া হয়েছে। আর সারাদেশের প্রায় ৩ হাজার গণমাধ্যম এক্রিডিটেশন কার্ড পেয়েছে। কোনো অনলাইন পত্রিকাকে নিবন্ধন দেয়ার আগে পুলিশের বিশেষ বিভাগের কর্মকর্তরা ওই অনলাইন পত্রিকার অফিস পরিদর্শন করে মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন দেবে। তবে তথ্যবিরবরণীতে বিভিন্ন পত্রিকার অনলাইন ভার্সনের নতুন করে নিবন্ধের বিষয়ে কিছু বলা হয়নি।
এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তথ্য মন্ত্রণালয়ের ওই কর্মকর্তা বলেন, পত্রিকাগুলোর অনলাইনের জন্যও নতুন করে নিবন্ধন নিতে হবে। এর আগে এক্রিডিটেশন কার্ড পাওয়া যেসব অনলাইন পত্রিকা নতুন করে নিবন্ধন পাবে না তাদের কার্ড বাতিল করা হবে বলেও জানান তথ্য অধিদপ্তরের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা (প্রটোকল) মো. শাহেনূর মিয়া।
অন্যদিকে পত্রিকার অনলাইন সংষ্করণের বিষয়ে কিছু উল্লেখ না থাকলেও তথ্য মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, পত্রিকাগুলোকেও তাদের অনলাইন সংষ্করণের জন্য নতুন করে আবেদন করতে হবে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে শাহেনূর বলেন, সরকার সব অনলাইন গণমাধ্যমকে একটি নিয়মের মধ্যে আনার উদ্যোগ নিয়েছে। সব অনলাইন গণমাধ্যমে নির্ধারিত ফরমেটে আবেদন করে নিবন্ধন নিতে হবে। নিবন্ধনপ্রাপ্ত অনলাইন গণমাধ্যমই কেবল এক্রিডিটেশন কার্ডের জন্য আবেদন করতে পারবে।
অপরতিদকে তথ্য মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, নিবন্ধন পাওয়া কোনো অনলাইন পত্রিকা কয়টি এক্রিডিটেশন কার্ড পাবে তা ওই পত্রিকার এলেক্সা রেটিং, গুগল এনালিটিক্স, নিজস্ব কনটেন্টের পরিমাণ ও সাংবাদিকের সংখ্যার উপর ভিত্তি করে দেয়ার চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। তথ্যমন্ত্রী এবং তথ্যসচিবের নির্দেশনা অনুযায়ীই তথ্য অধিদপ্তরকে অনলাইন পত্রিকাগুলোকে নতুন করে নিবন্ধনের আওতায় আনার দায়িত্ব দেয়া হয়েছে বলে জানান ওই কর্মকর্তা।