দীর্ঘদিন ধরে ভারতের যে হীরকখ-টি ব্রিটেনের রানী আলেকজান্দ্রা এবং রানী মেরির মুকুট উজ্জল করে এসেছে সেই কোহিনুর হীরাটি ব্রিটেন থেকে আবার ফিরে আসেেছ ভারতে! হীরকখ-টি ফিরিয়ে আনার জন্য লন্ডন আদালতে আইনগত প্রক্রিয়া শুরু করতে বলিউডের তারকা ও ভারতের ব্যবসায়ীরা একত্রিত হয়েছে। ১০৫ ক্যারেটের ওই হীরকখ-টি ফিরিয়ে আনতে সরকারের কাছেও দাবি জানিয়েছে তারা। তাদের মতে হীরকখ-টি তার প্রকৃত স্থান থেকে চুরি করা হয়েছিলো।
চলতি সপ্তাহে বাকিংহাম প্রাসাদে রানীর আমন্ত্রণে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদির সাথে সাক্ষাতে বিষয়টি অনভিপ্রেত সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে। তবে রাজকীয় সূত্র জানিয়েছে, বৈঠকে এ বিষয় নিয়ে কোনো আলোচনা হবে না।
ভারতে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক ইতিহাসে এটা নতুন বিতর্কের সৃষ্টি করতে পারে এবং কেহিনুরকে নতুন করে আলোচনায় নিয়ে আসতে পারে। বলা হয়ে থাকে এ হীরাটি শুধু ‘ঈশ্বর ও নারীরাই’ পরিধান করতে পারে।
মামালটির জন্য তহবিল সংগ্রহে সাহায্যকারী আইনজীবী ডেভিড ডি সউজা বলেছেন, ‘ভারত থেকে নিয়ে আসা শিল্পকর্মের মধ্যে কোহিনুর অন্যতম। এটি বর্তমানে অনিশ্চিত অবস্থায় আছে।’
তিনি আরও বলেন, ঔপনিবেশিকায়ন দেশটির সম্পদ চুরি করেছে এবং মননশীলতা ধ্বংস করেছে।
বলিউড তারকা ভৌমিকা সিং বলেন, ‘কোহিনুর শুধু ১০৫ ক্যারেটের একটি হীরকখ-ই নয়, এটি আমাদের ইতিহাসের অংশ এবং অবশ্যই এটি ফিরিয়ে আনা উচিৎ।’
তবে বৃত্তাকার এই হীরাটি ফিরিয়ে আনতে তাদের দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে সরকার। বলা হয়েছে, ১৮৫১ সালে সর্বশেষ শিখ নেতা দিলিপ সিং এটি রানী ভিক্টোরিয়াকে উপহার দিয়েছিলো। এটি ফিরিয়ে আনা হবে ভারতের জন্য জাতীয় অপমান।