বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের সমীক্ষায় বিহার ভোটের যে ফল উঠে এসেছিল, এক কথায় তা নাচক করল বিহারবাসী। সমীক্ষাগুলো নীতীশ-লালু জোটকে সর্বোচ্চ ১৩০টি আসন দিয়েছিল। সেখানে নীতীশ-লালু জোট ছিনিয়ে নিয়েছে ১৭৭টি আসন ষ এনডিএর আসন সংখ্যা ৬০এর নিচে যা কোনও সমীক্ষাতেই প্রতিফলিত হয়নি। মাত্র দেড় বছর আগে লোকসভায় ৪০টি আসনের মধ্যে ৩১টি ছিনিয়ে নিয়েছিল বিজেপি। ফলে বিভিন্ন সমীক্ষায় সেই ফলাফলকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছিল ষ কার্যত সে সব সমীক্ষা ও বিশ্লেষণ কোনও পাত্তাই পেল না এবারের বিহার ভোটে। লালু-নীতীশ জোটের সাফল্যের পেছনে কারণ কী ? অনেকে বলছেন, নিন্মবর্ণের ভোট এককাট্টা হওয়া, এর সঙ্গে রয়েছে বিহারী স্বাভিমান, আর সংরক্ষণ ইস্যু। ভোটের আগে মোহনভাগত জানিয়েছিলেন নতুন করে সংরক্ষণ ইস্যু ভেবে দেখা হবে। এর পাশাপাশি রয়েছে মূল্যবৃদ্ধির ইস্যু, বিশেষ করে ডালের দাম লাগাম ছাড়া হওয়া তা বিজেপির বিরুদ্ধে গিয়েছে। ধর্ম নয়, জাতপাতই এবার ভোটে প্রধান ফ্যাক্টর হয়ে উঠেছে। এবার সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য সাফল্য লালুর রাষ্ট্রীয় জনতা দলের। ২০১০ সালের বিধানসভা নির্বাচেন আরজেডি মাত্র ২২টি আসনে জয়লাভ করেছিল।
যাদব ও সংখ্যালঘুদের সমর্থন পুরোপুরি গিয়েছে লালুর দিকে। এর পাশাপাশি নীতীশ কুমারের সঙ্গে জোট বাধার সুফল পেয়েছ আরজেডি। নীতীশের সুশাসনের সুফলও পেয়েছেন লালু।
প্রাক নির্বাচনী সমীক্ষায় বিজেপি জোটকে এগিয়ে রাখা হয়েছিল, গত এক মাসের মধ্যেই বিহারীদের ভাবনার পরিবর্তন ঘটেছে তা ফলাফলেই প্রকাশ। অনেকের মতে, ধর্মের তাস খেলতে গিয়েই বিজেপির ভরাডুবি। আসলে সাম্প্রদায়িকতা বনাম জাতপাতের রাজনীতিই বিহার ভোটের নির্ণায়ক হয়ে উঠেছে। সূত্র : সংবাদ প্রতিদিন