আজ সোমাবার প্রখ্যাত শ্রমিকনেতা ও গাজীপুরের জনপ্রিয় সংসদ সদস্য শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টারের ৬৫তম জন্মদিন। গাজীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য ও শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টারের পুত্র মোঃ জাহিদ আহসান রাসেল এমপি তাঁর বাবার ৬৫তম জন্মদিন উপলক্ষে নেয়া বিভিন্ন কর্মসূচীতে অংশ নেয়ার জন্য স্থানীয় সর্বস্তরের জনগণ, জাতীয় ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দকে অনুরোধ জানিয়েছেন। এ উপলক্ষে আজ সকালে তার সমাধিস্থলে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণসহ দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচীর আয়োজন করা হয়েছে। কর্মসূচির মধ্যে বিকেল ৩টায় থানা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে টঙ্গীর সফিউদ্দিন সরকার একাডেমী এন্ড কলেজ মাঠে এক জনসভার আয়োজন করা হয়েছে। এ জনসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জনপ্রশাসন মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম এমপি।
এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ.ক.ম মোজাম্মেল হক এমপি, মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি এমপি, শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার এমপির পুত্র যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মোঃ জাহিদ আহসান রাসেল এমপি, গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি টঙ্গী পৌরসভার সাবেক মেয়র আজমত উল্লাহ খান, সাধারণ সম্পাদক মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন ভারপ্রাপ্ত মেয়র আসাদুর রহমান কিরণ প্রমুখ। জনসভায় সভাপতিত্ব করবেন টঙ্গী থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব মোঃ ফজলুল হক।
শহীদ আহসান উল্ল্যাহ মাস্টার গাজীপুর-২ আসন থেকে ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে দু’বার আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য এবং এর সাথে ১৯৯০ সালে গাজীপুর সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এবং ১৯৮৩ ও ১৯৮৭ সালে দু’দফা স্থানীয় পূবাইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন। তিনি আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সদস্য, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজ বিলসের চেয়ারম্যান, শিক্ষক সমিতিসহ বিভিন্ন সমাজসেবামূলক জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সংগঠনের সাথে জড়িত ছিলেন। তিনি জাতীয় শ্রমিক লীগের কার্যকরী সভাপতি ও সাধারণ সস্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করে গেছেন।
২০০৪ সালের ৭ মে তৎকালীন বিএনপি-জামাত জোট সরকারের মদদপুষ্ট সন্ত্রাসীরা তাঁর বাসভবন সংলগ্ন স্থানীয় নোয়াগাঁও এম এ মজিদ মিয়া স্কুল মাঠে তাকে দিন-দুপুরে গুলি করে হত্যা করে। এ হত্যা মামলায় ২২জনের ফাঁসি রায় ঘোষণা করা হলেও মামলার রায় আপিল বিভাগে বিচারাধীন রয়েছে।