দশম জাতীয় সংসদের ৮ম অধিবেশন আজ রবিবার বিকেল ৪টা ৩২ মিনিটে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে শুরু হয়েছে। রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ সংবিধানের ৭২ অনুচ্ছেদের (১) দফায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে গত ১৫ অক্টোবর এ অধিবেশন আহবান করেন। সংসদ সচিবালয়ের পক্ষ থেকে ইতোমধ্যে এ অধিবেশনের চূড়ান্ত প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। তবে আজ স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিতব্য সংসদ কার্য-উপদেষ্টা কমিটির সভায় ৮ম অধিবেশনের কার্যক্রম ও মেয়াদ চূড়ান্ত করা হবে।
এদিকে সংসদ সচিবালয় থেকে জানা যায়, এ অধিবেশন সংক্ষিপ্ত হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। ৬০ দিনের সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার জন্যই এ অধিবেশন আহ্বান করা হয়েছে। তবে এ অধিবেশনে রাষ্টপতির পারিতোষিক ও অন্যান্য ভাতা বৃদ্ধি সংক্রান্ত বিলসহ বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিল পাস হতে পারে। সংসদ সচিবালয়ের আইন শাখা থেকে জানানো হয় সংসদে নতুন ৪টিসহ মোট ১৪টি বিল জমা রয়েছে। তাছাড়াও অধিবেশন চলাকালে আরো কয়েকটি বিল জমা হতে পারে। তারমধ্যে স্থানীয় সরকার নির্বাচন সংক্রান্ত বিলও থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।
অন্যদিকে ১০ম জাতীয় সংসদের ৭ম অধিবেশন গত ১ সেপ্টেম্বর শুরু হয়ে গত ১০ সেপ্টেম্বর শেষ হয়। মোট ৮টি কার্যদিবসের এ অধিবেশনে ৬টি সরকারি বিল পাস করা হয়। আইন প্রণয়ন সম্পর্কিত কাজ সম্পাদনের পাশাপাশি ওই অধিবেশনে কার্যপ্রণালী বিধির ৭১ বিধিতে ৩৬৫টি নোটিশ পাওয়া যায়। নোটিশগুলো থেকে ১২টি নোটিশ গৃহীত হয়। ৭১(ক) বিধিতে ২ মিনিটের আলোচিত নোটিশের সংখ্যা ৯০টি ছিল। তাছাড়া সপ্তম অধিবেশনে কার্যপ্রণালী বিধির ১৪৭ (১) বিধির আওতায় একটি নোটিশের ওপর সাধারণ আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। নোটিশটি ছিল যুক্তরাষ্ট্রের গবেষণা প্রতিষ্ঠান আইআরআই এর জনমত জরিপে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের প্রতি জনসমর্থন বেড়েছে বলে উল্লেখ করায় শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানানো হোক। ওই অধিবেশনে সর্বসম্মতভাবে এ ধন্যবাদ প্রস্তাব গৃহীত হয়। তাছাড়া ৭ম অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রীর উত্তরদানের জন্য সর্বমোট ১৪১টি প্রশ্ন পাওয়া গিয়েছিল। তার মধ্যে তিনি ৩৬টি প্রশ্নের উত্তর দেন। আর মন্ত্রীদের জন্য আনা ২ হাজার ২২৩টি প্রশ্নের মধ্যে ৮৮৭টি প্রশ্নের জবাব দেয়া হয়।