রাজধানীর বিমানবন্দর রেল স্টেশন থেকে হযরত শাহজালাল (র) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পর্যন্ত টানেল নির্মাণ করা হচ্ছে। এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের (এডিবি) অর্থায়নে এটি নির্মাণ করা হবে। আজ রবিবার দুপুরে ‘নগর ভবনে’ ঢাকা যানবাহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষের (ডিটিসিএ)’র বোর্ড সভা শেষে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদেও ব্রিফিংকালে একথা জানান। এ সময় সড়ক বিভাগের সচিব এমএএন ছিদ্দিক, সেতু বিভাগের সচিব খোন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম, রেলপথ মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব ফিরোজ সালাউদ্দিন, ডিটিসিএ’র নির্বাহী পরিচালক মো. কায়কোবাদ হোসেনসহ ডিটিসিএ পরিচালনা পরিষদের সদস্যগণ সভায় উপস্থিত ছিলেন।
টানেলটি নির্মাণে অর্থায়নের জন্য এডিবি’র প্রাথমিক সম্মতি পাওয়া গেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এটি নির্মিত হলে যানজট এড়িয়ে যাত্রীগণ টানেল ব্যবহার করে সরাসরি বিমানবন্দরের অভ্যন্তরে যেতে পারবেন। এছাড়াও প্রস্তাবিত এ টানেলের সাথে সংযুক্ত থাকবে হাজী ক্যাম্প। ক্যাম্প থেকে ভূ-গর্ভস্থ পথ ব্যবহার করে হাজীগণ সরাসরি বিমানবন্দরে যেতে পারবেন।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন মেয়র সাঈদ খোকন, সাগুফতা ইয়াসমিন এমিলি এমপি এসময় উপস্থিত ছিলেন। সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ডিটিসিএ’র ৭ম বোর্ড সভায় ঢাকা মহানগরীর যানজট নিরসনে আরামবাগ হতে বাবুবাজার সেতুর কেরানীগঞ্জ প্রান্ত পর্যন্ত রাজউকের উদ্যোগে একটি ফ্লাইওভার নির্মাণ করারও অনুমোদন দেয়া হয়।
ওবায়দুল কাদের জানান, এয়ারপোর্ট হতে কুড়িল ফ্লাইওভার-আমেরিকান দূতাবাস-রামপুরা-মালিবাগ ক্রসিং-মৌচাক-কমলাপুর স্টেশন পর্যন্ত মেট্রোরেল-১ এর রুট চূড়ান্ত হয়েছে। এরমধ্যে মালিবাগ ক্রসিং থেকে মৌচাক হয়ে কমলাপুর স্টেশন পর্যন্ত ৬ কিলোমিটার হবে আন্ডারগ্রাউন্ড। তিনি জানান, ঢাকা মহানগরীর অধিকাংশ সড়ক উত্তর-দক্ষিণে। মহানগরীর পূর্ব-পশ্চিমে সংযোগ বাড়াতে চূড়ান্ত করা হয়েছে মেট্রোরেল-৫ এর রুট। গাবতলী থেকে শুরু হয়ে মেট্রোরেল-৫ টেকনিক্যাল মোড়-মিরপুর-১, মিরপুর-১০, মিরপুর-১৪, ক্যান্টনমেন্ট- কামাল আতাতুর্ক এভিনিউ-গুলশান-মাদানী এভিনিউ হয়ে ভাটারা গিয়ে শেষ হবে। এরমধ্যে মিরপুর-১৪ থেকে ক্যান্টনমেন্ট এর নিচ দিয়ে কামাল আতাতুর্ক এভিনিউ-গুলশান-মাদানী এভিনিউ হয়ে ভাটারা পর্যন্ত ৬ কিলোমিটার হবে আন্ডারগ্রাউন্ড।