সরকার পাট উৎপাদনে জোর দিয়েছে : মির্জা আজম

সরকার পাট উৎপাদনে জোর দিয়েছে : মির্জা আজম

বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম বলেছেন, সরকার পাট উৎপাদনে জোর দিয়েছে। এদিকে 11প্রয়োজনীয় কাঁচা পাটের মজুদের অভাবে পরিবেশ বিনষ্টকারী পলিথিনের ওপর নির্ভর করতে হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়। বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, দেশে প্রয়োজনীয় পাটের তৈরি থলে তৈরি করতে যে পরিমাণ কাচাঁ পাটের প্রয়োজন হয় তার অর্ধেকও মজুদ নেই। দেশে প্রয়োজনীয় পাটের তৈরি হলে তৈরি করতে প্রায় ৮০ লাখ মণ পাটের প্রয়োজন হয়। এ প্রয়োজনের তুলনায় দেশে মাত্র ৩০ লাখ মণ পাট মজুদ রয়েছে। এ পরিস্থিতিতে এক মাসের জন্য সকল প্রকার কাঁচা পাট রপ্তানীর সিদ্ধান্ত দেশের পাটের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পাটের সুদিন ফিরিয়ে আনার জন্য জোর নির্দেশ দিয়েছেন। সে নির্দেশনা অনুযায়ী মন্ত্রণালয় কাজ করে যাচ্ছে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বেশ কিছু কঠোর সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়েছে। যার সুফল অতিদ্রুত পাওয়া যাবে বলে আশা করি।
মির্জা আজম বলেন, পণ্যে পাটজাত মোড়কে বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন-২০১০ সঠিকভাবে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ছয়টি পণ্যে পাটের তৈরি ব্যাগ ব্যবহার নিশ্চিত করার জন্য আগামী ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত সময়-সীমা বেধে দেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, দেশের পণ্যে পাটজাত মোড়কের ব্যবহার নিশ্চিত করার পাশাপাশি আগামী এক মাস সকল প্রকার কাঁচা পাট রপ্তানীর ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। দেশের প্রয়োজনীয় কাচাঁ পাটের মজুদ যেখানে নেই সেখানে বিদেশে পাট রপ্তানী করার কোন যৌক্তিক কারণ নেই। সেজন্য কাঁচা পাট রপ্তানীর বিষয়ে নেওয়া মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত দেশের পাটের সুদিন ফিরিয়ে আনতে খুবই কার্যকরি ভূমিকা পালন করবে।
এ বিষয়ে মির্জা আজম বলেন, বিদেশে কাঁচা পাট রপ্তানী বন্ধ করায় দেশের পাট ও বস্ত্র কলগুলো যেমন লাভবান হবে তেমনি পাট চাষীরাও পাটের ন্যায্যমূল্য পাবে। এতে দেশে পাটজাত পণ্য তৈরির কল-কারখানাগুলোতে যেমন চাঙ্গাভাব ফিরে আসবে তেমনি পাট চাষীরাও পাট চাষে আরো বেশী আগ্রহী হবে। পাট ব্যবসায়ীদের পাট রপ্তানী বন্ধে ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার দাবী সম্পকে জানতে চাইলে তিনি বলেন, পাট ব্যবসায়ীরা দেশের পাট ক্রয় কেন্দ্রগুলোতে তাদের পাট বিক্রয় করতে পারে। কেননা আমাদের দেশে যে পরিমান পাটের প্রয়োজন সে পরিমান পাট দেশে মজুদ নেই।
পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন-২০১০ বাস্তবায়নের বিষয়ে জানতে চাইলে মির্জা আজম বলেন, এবার এ আইন বাস্তবায়নে অকৃতকার্য হওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই। কেননা এ আইন বাস্তবায়নে মন্ত্রণালয়ের দুর্বলতাগুলো সম্পর্কে অবগত হয়েছি। তারপর প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত গ্রহন করেছি।
প্রসঙ্গত বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় ‘পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক আইন-২০১০’ সঠিকভাবে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ৬ টি পণ্যে পাটজাত থলের ব্যবহার নিশ্চিত করার জন্য সংশ্লিষ্ঠ ব্যবসায়ীদের আগামী ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত সময়-সীমা নির্ধারণ করে দেয়। আর মন্ত্রণালয়ের অপর এক নির্দেশে গত ৩ নভেম্বর থেকে একমাস কাঁচা পাট রপ্তানীর ওপর নিষেধাঙ্গা আরোপ করা হয়।

Featured অর্থ বাণিজ্য