ই-মেইলের পাশাপশি এবার থেকে এসএমএস’র মাধ্যমে বিভিন্ন নোটিশ পাবেন সংসদ সদস্যরা। খুব শিগগিরই এ ব্যবস্থা চালু করতে যাচ্ছে সংসদ সচিবালয়।
বিভিন্ন সংসদীয় কমিটির বৈঠকের নোটিশ এবং বিভিন্ন জাতীয় দিবসের শুভেচ্ছা বার্তাসহ সংসদের যেকোন নোটিশই এসএমএস’র মাধ্যমে দেওয়া হবে।
সংসদীয় কমিটির বৈঠকের নোটিশ সম্বলিত এসএমএস কমিটির সদস্যদের কাছে পাঠনোর পরে সেখানে উত্তর দেওয়ারও একটি সুযোগ রাখা হচ্ছে। যদি কোন সদস্য বৈঠকে অংশ নিতে না পারেন তবে তিনি ফিরতি এসএমএস এ ‘হ্যাঁ অথবা ‘না’ লিখে তা জানিয়ে দিতে পারবেন। তার উত্তরটি সংরক্ষণেরও ব্যবস্থা রাখা হবে।
সংসদ সচিবালয় এরইমধ্যে ইমেইলে সংসদ অধিবেশনের নোটিশ পাঠানো শুরু করেছে। গত ৪ মার্চ সংসদ অধিবেশন চলাকালে স্পিকার আব্দুল হামিদ অ্যাডভোকেট এ ঘোষণা দিয়েছিলেন।
সে অনুযায়ী সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট বিভাগ সকল এমপিদের ই-মেইলে নোটিশ ও দিনের কার্যসূচি পাঠানো শুরু করেছে।
সংসদ সচিবালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব মো. মাহফুজুর রহমানের কার্যালয়ে এ সার্ভিসের সফটওয়্যার ইনসটলের কাজ চলছে।
সংসদ সচিবালয়কে এ বিষয়ে কারিগরি সহায়তা দিচ্ছে ‘অন্যরকম সফটওয়্যার লিমিটেড’ নামের একটি দেশীয় প্রতিষ্ঠান।
এসএমএস সার্ভিসের বিষয়ে সংসদ সচিবালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব মো. মাহফুজুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, ‘সংসদ সদস্যদের যে নোটিশটি ইমেইলে পাঠানো হয় তার একটি সংক্ষিপ্ত রূপ এসএমএস’র মাধ্যমে পাঠানো হবে।’
সংসদীয় কমিটির নোটিশগুলোই এ বিষয়ে বেশি গুরুত্ব পাবে বলে জানান তিনি। জাতীয় সংসদের সকল কার্যক্রমকে ই-পার্লামেন্ট প্রক্রিয়ায় আনতেই এ উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
কবে নাগাদ এই সার্ভিস চালু করা হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমাদেরকে যে প্রতিষ্ঠান কারিগরি সহায়তা দিচ্ছে তাদের কাজ প্রায় শেষ। আশাকরি দ্রুতই শুরু করতে পারবো।’
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সংসদীয় কমিটির নোটিশগুলোর পাঠানোর ক্ষেত্রে আলাদা কোন গেটওয়ে ব্যবহার করা হবে না। তবে বিশেষ দিবসে বা জরুরি নোটিশের ক্ষেত্রে ‘বাল্ক এসএমএস’ (গুচ্ছ বার্তা) পাঠাতে পৃথক গেটওয়ে ব্যবহার করা হবে।
সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, এ পদ্ধতির ফলে সংসদ সদস্যরা আগের চেয়ে অনেক দ্রুত বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জানতে পারবেন।
অন্যরকম সফটওয়্যার লিমিটেডের এ প্রকল্পের টিম লিডার সিনিয়র সার্ভিস ইঞ্জিনিয়ার রাশিদুল হাসান মাসুম টেলিলফোনে বাংলানিউজকে বলেন, ‘আগামী সোমবার এ কাজের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের একটি সংক্ষিপ্ত প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। এরপরে এসএমএস সার্ভিস চালু করা হবে।