বিশুদ্ধ পানির অপর নাম জীবন। পারিবেশ রক্ষায় ও মানুষের বেঁচে থাকার জন্য পানির প্রয়োজনীয়তা অপরিহার্য। ভূপৃষ্ঠের যে বিশাল জলরাশি সমুদ্র, হ্রদ, নদী ও খাল-বিল বহমান এমনকি ভূ-গর্ভে যে বিশাল জলরাশি সঞ্চিত হয়েছে তা অপরিমেয়।
পানি সমস্যার ওপর মনোযোগ দেওয়ার জন্য জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৪৭তম অধিবেশনে গৃহীত ১৯৩ নম্বর প্রস্তাবে ১৯৯৩ সাল থেকে প্রতি বছরের ২২ মার্চকে বিশ্ব পানি দিবস ঘোষণা করা হয়। ১৯৯৩ সালের ১৮ জানুয়ারি জাতিসংঘ পরিবেশ ও উন্নয়ন সম্মেলনে প্রণীত একবিংশ শতাব্দীর অ্যাকশন এজেন্ডার প্রস্তাব অনুযায়ী এ ঘোষণা দেওয়া হয়।
সারাবিশ্বের মত প্রতিবছরই বাংলাদেশে দিবসটি পালন করা হচ্ছে। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য বিষয় হচ্ছে ‘পানি ও খাদ্যের নিশ্চয়তা’।
পরিমাণগত দিক দিয়ে পৃথিবীর তিন ভাগ পানি হলেও গুণগতমান বিচারে তা কতখানি মানুষের বেঁচে থাকার জন্য ভূমিকা রাখে, সময়ের বিচারে আজ তা প্রশ্নের সম্মুখীন।
বাংলাদেশ ওয়াটার ভিশন ২০২৫ এর তথ্য মতে, পৃথিবীর মোট পানির আয়তন ৩২ কোটে ৬০ লাখ ৭৪ হাজার ৪০০ ঘন মাইল। এর মধ্যে প্রায় ৯৭ দশমিক ৫ শতাংশ লবণাক্ত পানি এবং বাকি ২ দশমিক ৫ শতাংশ স্বাদু পানি।
হৃদ, নদী ও খাল-বিলে অবস্থিত পানির পরিমাণ খুবই সামান্য অর্থাৎ পৃথিবীর মোট পানির দশমিক ০১ শতাংশ। বাংলাদেশের নদীবাহিত পানির পরিমাণ প্রায় ১০১০ কি.মি. এবং স্থানীয় বৃষ্টির পানির পরিমাণ ৩৪০ কি.মি. যা নদীর মধ্য দিয়ে সমুদ্রে প্রবাহিত হয়।
গত বছরের ২২ মার্চ ন্যাশনাল জিওগ্রাফি জানিয়েছে, পুরো পৃথিবীর মাত্র ২ দশমিক ৫ শতাংশ মিঠাপানি, যার দুই-তৃতীয়াংশ বরফ আকারে রয়েছে। এরমধ্যে মাত্র এক শতাংশ শশ্য উৎউপাদন, পানযোগ্য ও দৈনন্দিন ব্যবহারের উপযোগী।
এদিকে বাংলাদেশসহ সমগ্র বিশ্ব দিবসটি উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছে। বাংলাদেশ সরকারের জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতর, এনজিও ফোরাম ফর ড্রিংকিং ওয়াটার সাপ্লাই অ্যান্ড স্যানিটেশন, ইউনিসেফ, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং বিশ্বব্যাংকের ওয়াটার অ্যান্ড স্যানিটেশন প্রোগ্রাম সম্মিলিতভাবে দেশব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করবে।