মায়ানমারে সাধারণ নির্বাচনের একদিন আগে আজ শনিবার ভোটের চূড়ান্ত প্রস্তুতি চলছে। গত কয়েক দশক সেনা শাসনের পর এই নির্বাচনে বিরোধী নেত্রী অং সান সুকির দল ক্ষমতায় আসতে পারে বলে ধারণা করছে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে জানা গেছে। সুকির ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্রেসি পার্টি পার্লামেন্টে বৃহত্তম দল হিসেবে আর্বিভূত হতে পারে। ফলে দেশটির রাজনীতিতে পরিবর্তন আসবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। স্বাধীনতার পর থেকে মায়ানমারের রাজনীতিতে সামরিক বাহিনী প্রাধান্য বিস্তার করে আসছে।
প্রেসিডেন্ট থেইন সেইন জোর দিয়ে বলেছেন, তার সরকার ও শক্তিশালী সেনাবাহিনী ভোটের ফলাফলের প্রতি সম্মান জানাবে। ২০১১ সালে জান্তা শাসনের অবসানের পর সাবেক এ জেনারেল সংস্কার প্রক্রিয়ার নেতৃত্ব দেন। দেশটিতে অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করতে প্রথমবারের মত কর্তৃপক্ষ নির্বাচকদের নামের তালিকা কম্পিউটারাইজ করেছে। প্রেসিডেন্ট থেইন সেইন নির্বাচনে ভোট দেয়ার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহবান জানিয়েছেন।
তবে পশ্চিমাঞ্চলের রাখাইন রাজ্যের হাজার হাজার রোহিঙ্গা মুসলমানকে ভোটের অধিকার থেকে বঞ্চিত করে রাখা হয়েছে। জাতিগত বিদ্রোহের কারণে কিছু এলাকায় ভোট অনুষ্ঠিত হবে না। পর্যবেক্ষকদের আশংকা, অনেক ভোটার বিশেষত যেসব এলাকার লোকজন অন্য এলাকায় গিয়ে কাজ করেন তাদের নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ পড়তে পারে। মুদি দোকানি উইন মির বলেন, আমি এই সরকারকে পছন্দ করি না। তারা দুর্নীতিপরায়ণ। আমার বিশ্বাস, নির্বাচনে কিছুটা জালিয়াতি হবে। তবে, আমি মনে করি সুকি তাদের মতে হবেন না।