দুটি কলেজের ডিগ্রি রয়েছে তার। বিমান চালাতে পারে অনায়াসে। কিন্তু এখনও ভোট দিতে পারে না। কারণ বয়স হয়নি। সবেমাত্র তার বয়স ১৭ বছর। ক্যালিফোর্নিয়ার সান গ্যাব্রিয়েলের ছেলে কাভালিন বিশ্বের কাছে এক বিশ্ময় বালক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে।
১১ বছর বয়সে গ্রাজুয়েশন। ৪বছর পর ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়া থেকে অঙ্কে ডিগ্রি। এবছরই ব্রান্দিস ইউনিভার্সিটি থেকে সাইবার সিকিউরিটি নিয়ে পড়াশোনা করছে অনলাইনে। একই সময়ে নাসা-কে এয়ারপ্লেন ও ড্রোনের প্রযুক্তি তৈরিতে সাহায্য করেছে। এখানেই শেষ নয়। নিজের লেখা ২য় বই প্রকাশ করেছে কিছুদিন আগেই। কারও কাছ থেকে গল্প শুনে ছবি আঁকা তার নেশা। চলতি বছরের শেষেই বিমান ওড়ানোর লাইসেন্সও আসবে তার হাতে।
এতকিছুর পরও নিজেকে সাধারণ ভাবতেই পছন্দ করে কাভালিন। তার বাবা ব্রাজিলের ও মা তাইওয়ানের। তার জীবনের সবকিছুর জন্য সে বাবা-মা’কেই ধন্যবাদ দিতে চায়। সম্প্রতি নাসা-র এক সম্মেলনে সে বলে, ‘আমি অসাধারণ নই। বাবা-মায়ের উৎসাহ, নিজের ইচ্ছা আর উদ্যোগের ফল মাত্র। আমি শুধু নিজের সেরাটুকু করার চেষ্টা করি।’
কাভালিনের বাবা-মা জানিয়েছে খুব দ্রুত সব পড়াশোনা সেরে ফেলতে পারে সে। মাত্র ৭ বছর বয়সেই শেষ হয়েছে ত্রিকোণমিতি। তবে তারও বাধা এসেছে। কাভালিন স্বপ্ন দেখেছিল অ্যাস্ট্রোফিজিসিস্ট হওয়ার। কিন্তু ফিজিক্স পড়তে গিয়ে সে বুঝতে পারে তার উৎসাহ কম্পিউটার সায়েন্সেই। নাসা যখন তাকে ডেকেছিল রীতিমত অবাক হয়েছিল কাভালিন। নাসায় তার মেন্টর রিকার্ডি আর্তেগা জানিয়েছেন, কাভালিন অঙ্ক, কম্পিউটার, এয়ারক্রাফট টেকনোলজি সবটাই জানে। তাই ও এই প্রজেক্টের জন্য একদম পারফেক্ট ছিল। তার দরকার ছিল এমন একজন যে অ্যালগোরিদিম করবে আবার প্লেনও ওড়াতে পারবে।
আপাতত কাভালিন চায় ম্যাসাচুসেটস ইন্সটিটিউট অফ টেকনোলজি থেকে বিজনেস-এ মাস্টার ডিগ্রি পেতে। পরে নিজেই সাইবার সিকিউরিটি কোম্পানি খুলতে চায় কাভালিন।