সিম নিবন্ধনে গ্রাহকের দেয়া তথ্য যাচাইয়ে জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্যভান্ডার ব্যবহার করার সুযোগ পেতে ছয় মোবাইল অপারেটর এবং নির্বাচন কমিশনের (ইসি) জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের (এনআইডি) সঙ্গে চুক্তি হয়েছে। মঙ্গলবার আগারগাঁওয়ে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগে এ চুক্তি হয়।
এই চুক্তির ফলে নাগরিকদের তথ্যভান্ডার ব্যবহারের সুযোগ পাবে গ্রামীণফোন, বাংলালিংক, রবি, এয়ারটেল, সিটিসেল ও রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন অপারেটর টেলিটক। সিম কেনার সময় একজন গ্রাহক সঠিক তথ্য দিচ্ছেন কি না, এত দিন মোবাইল ফোন অপারেটরদের তা যাচাই করার সুযোগ ছিল না। জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্যভান্ডার ব্যবহারের সুযোগ পাওয়ায় মোবাইল অপারেটররা এখন একজন গ্রাহকের এনআইডি নম্বর, জন্মতারিখ ও আঙুলের ছাপ ঠিক আছে কি না, তা যাচাই করতে পারবে
বর্তমানে বাংলাদেশ ব্যাংক, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের সঙ্গে ইসির তথ্য ভান্ডার ব্যবহারের চুক্তি রয়েছে। নির্বাচন কমিশনের কাছ থেকে এ তথ্য ব্যবহারের জন্য নির্ধারিত অর্থ গুনতে হচ্ছে অপারেটরগুলোকে। পাঁচ লাখ টাকা এককালীন ফি ছাড়াও প্রতিটি তথ্য যাচাইয়ে দিতে হবে দুই টাকা করে। বিটিআরসির তথ্যমতে, বর্তমানে সচল সিমের সংখ্যা ১৩ কোটি ১৪ লাখের বেশি। নির্বাচন কমিশনের তথ্য ভান্ডারে রয়েছে নয় কোটি ৬২ লাখের বেশি ভোটারের তথ্য।
সরকার গত ২৭ অক্টোবর ২০১২ সালের আগে কেনা সিম ১৫ নভেম্বরের মধ্যে নিবন্ধনের সময়সীমা বেঁধে দেয়। এ জন্য গত ১৫ অক্টোবর থেকে গ্রাহকদের খুদে বার্তা পাঠানো শুরু করে মোবাইল অপারেটররা। ২০১২ সালের পর কেনা সিমের জন্য গ্রাহকেরা নিজেরাই নিবন্ধনের সত্যতা যাচাই করতে পারবেন। এ জন্য মুঠোফোনের খুদে বার্তায় ইংরেজিতে জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর, জাতীয় পরিচয়পত্র অনুযায়ী জন্মতারিখ, পূর্ণ নাম লিখে ১৬০০ নম্বরে পাঠাতে হবে।
এ সময়ের মধ্যে নিবন্ধন না করা হলে সিম বন্ধ করে দেয়া হবে। পরে কোনো গ্রাহক উপযুক্ত কাগজপত্র দেখালে বন্ধ সিম চালু করার বিষয় বিবেচনা করা হবে।
এদিকে সিম নিবন্ধনে আঙুলের ছাপ পদ্ধতি পরীক্ষামূলকভাবে ১৫ নভেম্বর থেকে শুরু করার জন্য বিটিআরসিকে চিঠি দিয়েছে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ। এনআইডি তথ্যভান্ডারের মাধ্যমে তথ্য যাচাই করার সুযোগ না থাকায় এ সময়ের মধ্যে আঙুলের ছাপ পদ্ধতি শুরু করার বিষয়টি নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়। চুক্তির ফলে এ অনিশ্চয়তাও কেটে গেছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।