বাজিরাও করতে না পেরে কতটা হতাশ সালমান? খুব হতাশ লাগছে বাজিরাও মস্তানি থেকে বাদ গেলাম বলে! সম্প্রতি এ কথা বলেছেন সালমান নিজেই!
সত্যি বলতে কী, সালমানের হতাশ লাগারই কথা! সেই ১৯৯৯ সালে ‘হম দিল দে চুকে সনম’ মুক্তি পাওয়ার পর সঞ্জয় লীলা বনশালী বলেছিলেন, তিনি সলমন আর ঐশ্বর্যাকে নিয়ে বানাতে চলেছেন ‘বাজিরাও মস্তানি’। তার পর একে একে পরিচালককে বদলাতে হয়েছে তাঁর পছন্দের ‘মস্তানি’! প্রথমে সালমানের সঙ্গে সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ায় পিছিয়ে আসেন ঐশ্বর্যা। পরে, করিনা কাপুর খানকে নিয়ে কিছুটা কাজ এগোলেও নানা কারণে শুটিং বন্ধ হয়ে যায়!
কিন্তু, বাজিরাও হিসেবে সালমানই ছিলেন বনশালীর বরাবরের পছন্দ। তা হলে কী এমন ঘটল যে সালমানকে বাদ দিতে হল ছবি থেকে?
সম্প্রতি সেই কথাটাই ফাঁস করেছেন সালমান। জানাচ্ছেন, অন্য একটা ছবির শুটিং-এ সময় দিতে গিয়ে তার আর ‘বাজিরাও মস্তানি’-তে কাজ করা হয়ে ওঠেনি! তিনি যদি সময় দিতে পারতেন, তা হলে আর রণবীর সিংহের বাজিরাও হওয়া হতো না!
কী সেই ছবি যার জন্য বনশালীকে ফিরিয়ে দিয়েছেন সলমন? বনশালীর সঙ্গে তাঁর বন্ধুত্ব তো খুবই দৃঢ়, কোনও ছবিতেই তো বনশালীকে ‘না’ বলেন না তিনি!
আসলে, সালমান আর বনশালীর মাঝে এসে দাঁড়িয়েছেন সূর্য বরজাতিয়া! মুশকিল হল, তার সঙ্গে সালমানের বন্ধুত্বটা আরও বেশি দিনের! তা ছাড়া অনেকগুলো ফ্লপ ছবির পরে সালমানের হাত ধরে ‘প্রেম রতন ধন পায়ো’ নিয়ে ঘুরে দাঁড়াতে চাইছেন সূর্য, তাঁকে আর সালমান ফেরান কী করে!
এখন অবশ্য আখেরে সলমনের খারাপই লাগছে! নিজেই বলছেন তিনি সে কথা বার বার করে! বাজিরাও মস্তানি থেকে বাদ পড়াটা দুর্ভাগ্যজনক! আমি আর করিনা কিছুটা কাজও শুরু করে দিয়েছিলাম! কিন্তু, কী আর করা! প্রেম রতন ধন পায়ো আমায় করতেই হতো! সূত্র : আনন্দবাজার